নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: অবিলম্বে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে (WB Governor Jagdeep Dhankhar) সরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন রাষ্ট্রপতি। সোমবার বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে এমন দাবিই জানালেন লোকসভার তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যা এক কথায় নজিরবিহীন ঘটনা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সোমবার সংসদের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President of India Ramnath Kovind)। বক্তব্যের শেষে উপস্থিত সকল সাংসদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করছিলেন তিনি। সেই সময় সামনের সারিতে বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ (TMC MP Sudip Banerjee)। সূত্রের খবর, সেই সময় রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালকে অপসারণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সংসদীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করেন, বাংলার রাজ্যপাল নানা ভাবে রাজ্য সরকারকে বিব্রত করছেন। রাজ্যের কাজে সমস্যা তৈরি করছেন। যা সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক। তাই অবিলম্বে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা।
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) আচার-আচরণে ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC)। এবার তাঁর অপসারণের দাবিতে সোজা সংসদে সরব হওয়ার পরিকল্পনা আগেই করছিল বাংলার শাসকদল। সংসদের বাজেট অধিবেশনে ধনকড়ের অপসারণের দাবিতে স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিষয়টি নিয়ে সরব হতে দুই সাংসদের উপর দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এর মধ্যে অধিবেশন শুরুর দিনই রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল সাংসদ। একইসঙ্গে তাঁকে অপসারণের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপের দাবি জানান সুদীপ।
প্রসঙ্গত, রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব চরম আকার নিয়েছে। একাধিক ইস্যুতে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, সেখানেই মমতা বলেন, ”রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ংকর পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিউম্যান রাইটস কমিশন কীভাবে তৈরি করলেন, তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন করছেন! যেন মনে হচ্ছে, রাজ্যপালকে নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে বিরক্ত করো। রাজ্যপাল মনোনীত, কিন্তু আমরা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ক্ষমতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছি। লোকসভা ও রাজ্যসভার এ বিষয়ে কথা বলার প্রয়োজন আছে। সেই সময় এসে গিয়েছে। রাজ্যপালের যা অবস্থা, তাতে তার নিজেরই চলে যাওয়া উচিত। রাজ্যপাল সংসদীয় গণতন্ত্রকে টুঁটি টিপে মেরে ফেলার কাজ করছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.