সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সংবিধান দিবস উপলক্ষে নুসরত জাহান সেন্ট্রাল হলে মগ্ন নরেন্দ্র মোদির বক্তৃতা শুনতে। অন্যদিকে, তৃণমূলের সব সাংসদরা তখন বি আর আম্বেদকরের মূর্তির সামনে। অনুপস্থিত শুধু বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত। কারণ তিনি তো সেসময় বিরোধী শিবিরে মোদি বক্তৃতায় মগ্ন। সে কী! তা নুসরতের এরকম দলবিরোধী আচরণ কেন? প্রশ্ন তো উঠছেই।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলবিরোধী আচরণ মোটেই নয়, আসলে খানিক ভুল বোঝাবুঝিতেই এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন তৃণমূল সাংসদ। সংবিধান দিবসের আগের দিন অর্থাৎ সোমবারই তৃণমূলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত সাংসদদের মেসেজ করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ দলের সংসদীয় অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। বাকিদের সেই এসএমএস চোখে পড়লেও নুসরত কিন্তু সেই বার্তা দেখতেই পাননি। তাই তিনি জানতেনই না দলের সেদিনকার কর্মসূচী কী ছিল। অতঃপর সকালবেলা সেন্ট্রাল হলে গিয়ে বসে পড়েন। বুঝতেই পারেননি যে সেটা বিরোধী দলের অনুষ্ঠান হচ্ছে। এরপর তৃণমূলের সাংসদরা সংসদ কক্ষে এলে গোটা ব্যাপারটি সম্পর্কে জানতে পারেন নুসরত জাহান। ‘বুঝুন ঠেলা!’ মন্তব্য করেন গেরুয়া শিবিরের সাংসদরা।
গোটা ঘটনা দেখে বিজেপি সাংসদরা মশকরা করতে শুরু করেন। বিশেষত, পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদরা যখন নুসরতের এই কাণ্ডে মজা করতে শুরু করেন, ঠিক তখনই খবর আসে যে, মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু সাত-সকালে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল আয়োজিত মোদি-বিরোধী ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ ধরণাতে। আম্বেদকর মিনিট সাতেক সেখানে থাকার পর বুঝতে পারেন যে বড়সড় ভুল হয়ে গিয়েছে। তিনি বিরোধী শিবিরে এসে পড়েছেন। ভুল বুঝে সেখান থেকে প্রায় তড়িঘড়ি ছুটে বেরিয়ে সেন্ট্রাল হলে পৌঁছন খগেন মুর্মু।
পরপর দুটো ঘটনা শুনে এক বিজেপি সাংসদের রসিক মন্তব্য “আরে এ-তো খেলা ১-১ হয়ে গেল!” পালটা টিপ্পনি কেটে তৃণমূল রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের মন্তব্য, “ওই বিজেপি সাংসদকে ধন্যবাদ। উনি ৭ মিনিটের জন্য হলেও আমাদের দেশের গণতন্ত্র রক্ষার্থে আমাদের সঙ্গে ছিলেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.