Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bilkis Bano

‘অন্যায়ের শেষের অপেক্ষায়’, বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির প্রতিবাদে সরব তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচাও দিয়েছেন তাঁরা।

TMC MP Mimi Chakraborty and Nusrat Jahan raised question over the release of the 11 Bilkis Bano rape convicts। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:August 19, 2022 10:48 am
  • Updated:August 19, 2022 10:48 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানো (Bilkis Bano) গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার (Gujarat)। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে ৬ হাজারেরও বেশি আবেদন। তাঁদের দাবি, ওই ধর্ষকদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী ক্ষোভ উগরে দিলেন টুইটারে। ওই গণধর্ষণকারীদের মুক্তির নিন্দার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচাও দিয়েছেন তাঁরা।

মিমি লিখেছেন, ‘১১ জন মানুষ যারা গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত তাদের কেন মুক্তি দেওয়া হল? তাহলে ১৫ আগস্টের ভাষণের সারবত্তাই বা কী? আপনি তো মহিলাদের সম্মান দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কেবল একজন মহিলা হিসেবেই এই কথা বলছি। আমি ক্রুদ্ধ ও ভগ্নহৃদয়।’ সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করে মিমি লেখেন, ‘সব বাড়িতে তেরঙ্গা তো ওড়ানো হল, কিন্তু স্বাধীনতা কি পাওয়া গেল? ৭৫ বছর পরেও? নিজেকেই প্রশ্ন করুন।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘গায়ে কাদা লাগানোর চেষ্টা, সম্মানের ব্যাপার’, সম্পত্তিবৃদ্ধি মামলা নিয়ে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের]

এদিকে নুসরত জাহান তাঁর পোস্টেও একই ভাবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘কবে এমন অন্যায় শেষ হবে তার অপেক্ষায়। আমি অপেক্ষায়। তিনিও অপেক্ষায়। বিলকিস বানো। ন্যায়বিচার সততার প্রতিনিধিত্ব করে। এবং সত্যি, সত্যিটা হল ১১ জন গণধর্ষণ ও খুনের অপরাধীর মুক্তির পরে মিষ্টি বিলোনো হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, প্রথা ভেঙেই এগারোজন দোষীকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিনই জেল থেকে বেরিয়েছে তারা। গোধরা সাব জেলের সামনেই মালা এবং মিষ্টি নিয়ে তাদের মুক্তি উদযাপন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন বিলকিসের স্বামী ইয়াকুব রসুল। তিনি বলেছেন, “কোন সরকার দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই ব্যাপারে কোনও কিছুই জানতাম না।”

[আরও পড়ুন: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের, কেজরিওয়াল বললেন ‘স্বাগত’]

ধর্ষকদের মুক্তির নির্দেশ প্রত্যাহারের আরজি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে জমা পড়েছে ৬ হাজারেরও বেশি আবেদন। মধ্যবিত্ত নাগরিক থেকে প্রান্তিক শ্রেণির প্রতিনিধি, মানবাধিকার কর্মী, লেখক, ইতিহাসবিদ, গবেষক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সাংবাদিক, প্রাক্তন আমলা অনেকেই আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, যে দিনটা আমরা আমাদের স্বাধীনতা উদযাপন করছিলাম, সেদিনই দেশের মহিলারা দেখতে পেলেন কীভাবে রাষ্ট্রের উদারতায় গণধর্ষণকারী ও গণহত্যাকারীরা মুক্তি পাচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement