সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে কড়া টুইট করে বিতর্কে তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar)। বেগতিক দেখে পরে সেই টুইট মুছেও দেন তিনি। তাঁর ওই টুইট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঠিক কী লিখেছিলেন তিনি? রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনন্দ রঙ্গনাথন একটি টুইট করেছিলেন। সেই পোস্টের জবাবে ব্রাহ্মণবিরোধী বক্তব্য রাখেন জহর। তিনি লেখেন, ‘শিক্ষাও রুক্ষ ও জিনগত ভাবেই উদ্ধত ব্রাহ্মণদের সুস্থ করতে পারেনি। এই ১ শতাংশ বর্ণবাদী সুবিধোভোগীদের জন্যই ৯৯ শতাংশ ভারতীয়র মধ্যে ইসলামোফোবিয়া তৈরি হয়েছে। বৌদ্ধ স্থাপত্যগুলি ধ্বংস করেছিল কারা? ব্রাহ্মণ শাসকরা।’
— Ksharma 🇮🇳 (@emkerti_) November 10, 2022
Sircar deleted his hate speech ? There has to be a price paid for such hate speech. Deleting a tweet is not enough.
— Sunanda Vashisht (@sunandavashisht) November 9, 2022
পোস্ট করার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। বহু বিশিষ্টরাই এই টুইটের বিরোধিতা করেন। শিব সেনা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, ‘একটা গোটা সম্প্রদায় সম্পর্কে আপনি ঘৃণ্য মন্তব্য করছেন জহর সরকারজি। আপনার কথাগুলির তীব্র বিরোধিতা করেছি। আপনাকে এমন টুইটের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে এবং এটা মুছে দিতে হবে।’
একই দাবি আরও অনেকেই করেন। পরে জহর সরকার টুইটটি মুছে দেন। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ সুনন্দা বশিষ্ঠ লেখেন, ‘ওই ঘৃণাভাষণটি উনি মুছে দিয়েছেন? কিন্তু এহেন ঘৃণাভাষণের মূল্য চোকানো উচিত। কেবল টুইট মোছাটাই যথেষ্ট নয়।’ ইতিহাসবিদ বিক্রম সম্পত টুইটারে লেখেন, ‘এটা অকল্পনীয় এই বর্ণবাদী একসময় আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রক ও প্রসার ভারতীর হয়ে কাজ করতেন! তাঁর বিষাক্ত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পরিষ্কার কেন আমাদের সিভিল সার্ভিসের প্রয়োজন।’ সেই সঙ্গে তাঁর খোঁচা, জহর এমন মন্তব্য করলেও আদপে তিনি ‘ইতিহাসের ডাস্টবিনে’ অবস্থান করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.