প্রতীকী ছবি
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দীর্ঘ এলাকা এখনও অরক্ষিত। কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। তৃণমূল সাংসদ দেবের প্রশ্নে সংসদে স্বীকার করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহর মন্ত্রক জানাল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় ৮৬৪ কিলোমিটার অরক্ষিত।
সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দেব জানতে চেয়েছিলেন, বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতের কোন কোন রাজ্যে পড়ে। কোন রাজ্যে বাংলাদেশ সীমান্তের দৈর্ঘ্য কতটা? বাংলাদেশ সীমান্তের কতটা এখনও অরক্ষিত? ওই অরক্ষিত এলাকায় কাঁটাতার লাগানো যায়নি কেন? আসলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় সীমান্ত সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই দেবের এই প্রশ্নও বাড়তি গুরুত্ব রাখে।
তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে শুধু বাংলার সীমান্ত ২২১৬ কিলোমিটার, মেঘালয় সীমান্ত ৪৪৩ কিলোমিটার, অসম সীমান্ত ২৬৩ কিলোমিটার, ত্রিপুরা সীমান্ত ৮৫৬ কিলোমিটার এবং মিজোরামের সীমান্ত ৩১৮ কিলোমিটার। কেন্দ্র স্বীকার করে নিয়েছে এই দীর্ঘ সীমান্ত এলাকার মধ্যে অরক্ষিত অর্থাৎ কাঁটাতার নেই প্রায় ৮৬৪ কিলোমিটার এলাকায়। কেন এই এলাকায় কাঁটাতার লাগানো যায়নি? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, এর মধ্যে ১৭৪ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার লাগানো সম্ভবই নয়। বাকি এলাকা হয় বনভূমি যুক্ত, ধ্বসপ্রবণ এবং দুর্গম।
দেব সংসদে এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছেন। তৃণমূল সাংসদ জানতে চান, এই মুহূর্তে দেশে কতজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর ফাঁসি এখনও দেওয়া সম্ভব হয়নি? কেন্দ্র জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত অথচ এখন ফাঁসি হয়নি, দেশে এই মুহূর্তে এই ধরনের আসামীর সংখ্যা ৫৪৪ জন। এই মুহূর্তে গুজরাটে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সে রাজ্যে ৪৯ জন আসামীকে আদালত মৃত্যুদণ্ড দিলেও এখনও ফাঁসি কার্যকর হয়নি। বাংলায় সংখ্যাটা ২৬।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.