ফাইল ছবি
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গরু পাচার মামলায় ফের দিল্লির ইডি (ED) দপ্তর থেকে তলব করা হল তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনকে (Jakir Hossain)। আগামী সপ্তাহে তাঁকে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে দিল্লির ইডি অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এর আগে গত ২ মার্চ জাকির হোসেনকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে। কিন্তু তিনি গরহাজির ছিলেন। তাই ফের তাঁকে আগামী সপ্তাহে ডাকা হয়েছে।
এর আগে জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জাকির হোসেনকে গরু পাচার মামলায় একাধিকবার তলব করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। চলতি বছরের প্রথম দিকে তাঁর বাড়িতে আয়কর দপ্তর হানা দিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে। শুধু তাই নয়, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় জাকির হোসেনের অফিস, কারখানায় তল্লাশি চালানো হয়। তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে এত সম্পত্তি উদ্ধার হওয়া নিয়ে বিজেপি (BJP) সমালোচনা শুরু করলেও দল জাকির হোসেনের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তৃণমূলের তরফে বলা হয়, জাকির ব্যবসায়ী। সেই সূত্রেই তাঁর কাছে নগদ টাকা থাকা স্বাভাবিক। অবৈধ লেনদেন হয়েছে কিনা, তা তো প্রমাণসাপেক্ষ। তাই এখনই এনিয়ে সমালোচনার কিছু হয়নি।
তবে এবার জাকিরকে ইডি তলব নিয়ে শোনা যাচ্ছে, সীমান্তবর্তী জেলা মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বিধায়ক গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণে ব্যাংকের সমস্ত নথিপত্র এবং যাবতীয় আর্থিক লেনদেনের কাগজপত্র নিয়ে তাঁকে যেতে হবে দিল্লির (Delhi) ইডি কার্যালয়ে। জাকির হোসেন ছাড়াও সুতির প্রাক্তন বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস ও উত্তর ২৪ পরগনার আরেক প্রাক্তন বিধায়ককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
গরু পাচার মামলায় আপাতত দিল্লিতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে তলব করা হয়েছে। এছাড়া দিল্লি যাওয়ার দিন শক্তিগড়ে প্রাতরাশ করতে নেমে তাঁর দুই ঘনিষ্ঠর সঙ্গে কথাবার্তা সেরেছিলেন বীরভূমের দাপুটে নেতা। তাঁদের একজন কৃপাময় ঘোষ। তাঁকেও ডাকা হয়েছে। এছাড়া আরও দু’জনকে তলব করেছে দিল্লির ইডি অফিস থেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.