Advertisement
Advertisement
Tripura

TMC In Tripura: ত্রিপুরার হোটেলে দেওয়া হচ্ছে না খাবার, ক্ষোভে ফুঁসছেন Saayoni Ghosh

ঘণ্টার পর ঘণ্টা হোটেলে লোডশেডিং করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।

TMC leaders allegedly harassed by hotel authority in Tripura । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 18, 2021 9:46 am
  • Updated:August 18, 2021 7:22 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রেস্তরাঁয় বসে রাজনৈতিক আলোচনা করা যাবে না বলে ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরায় (Tripura) হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করল তৃণমূল। শুধু আলোচনা নয়, বারবার খাবার অর্ডার করলেও তা দেওয়া হবে না বলে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল বঙ্গের শাসক দল।

Saayoni Ghosh
হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সায়নী ঘোষের বাকবিতণ্ডা

ঘটনা মঙ্গলবারের। ত্রিপুরার আগরতলায় জনা সত্তর যুবক-যুবতী তৃণমূলে যোগ দেন বঙ্গের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) হাত ধরে। তার আগে কয়েক দফায় রাজনৈতিক আলোচনা করেন সায়নী আগরতলায় যে হোটেলে উঠেছেন তার রেস্তরাঁয় বসে। সে সময় বেশ কয়েকবার খাবার চেয়ে পাঠান সায়নী। তাঁদের শিবিরের অভিযোগ, দু’বারের বেশি তা দিতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

সায়নীর তরফে জানানো হয়েছে, “প্রথমে তা মেনে নেওয়া হয়। বাইরে থেকে খাবার আনানো হয়। কিন্তু পরক্ষণেই এসে জানানো হয়, রেস্তরাঁয় বসে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা করা যাবে না।” সে রাজ্যের সভাপতি আশিসলাল সিংয়ের বক্তব্য, “আমি কোথায় বসে কী আলোচনা করব সেটা কি কেউ ঠিক করে দিতে পারে?” তাঁর কথায়, “আসলে বিজেপি সরকার ভয় পেয়েছে বলেই এগুলো করছে।” এমনকী, তিনি দাবি করেছেন, “এদিন যেখানে তৃণমূলে যোগদান চলছিল, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) গাড়ি সেই পথেই যাচ্ছিল। যোগদান পর্ব তাঁর চোখে পড়েছে। এই ঘটনার পরই আপত্তিকর সব ঘটনা ঘটতে থাকে।”

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে আটকে বাংলার কতজন? খোঁজ নিচ্ছে নবান্ন]

এর মধ্যেই উল্লেখ্য যে, এইসব পরিস্থিতি ঘটে চলার মধ্যে আচমকা লোডশেডিং হয়ে যায়। প্রথমে বলা হয়, আধ ঘন্টার মধ্যেই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আড়াই ঘন্টা একই অবস্থা চলে। সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসা করেও কোনও সদুত্তর মেলেনি।

এর মধ্যেই তৃণমূল শিবির দাবি করেছে, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। এমনকী, হোটেল নির্মাণের নথি বা জিএসটি (GST) সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতেও এর মধ্যে সরকারি আধিকারিকরা এসেছিলেন সেখানে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনাই তৃণমূলকে ঘর না দেওয়ার জন্য হোটেলের উপর চাপ তৈরি করার প্রক্রিয়া বলে দাবি তৃণমূলের। অন্যদিকে, আমবাসার পুরনো ঘটনায় অভিযুক্তদের থানায় হাজির হতে সমন পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের সভাপতি। তিনি ছাড়াও একাধিক স্থানীয় নেতৃত্বকে এই ধরনের সমন পাঠানো হচ্ছে বলে খবর।

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: আতঙ্কিত আফগানভূম, প্রাণ বাঁচাতে নয়াদিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন কান্দাহারের পুলিশ প্রধান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement