সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্যে ভোট এবং অবশ্যই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেরা নিজেদের রাজনৈতিক শক্তি পরীক্ষা করতে একে অপরের বিরুদ্ধেই নেমে গেল কংগ্রেস (Congress) এবং তৃণমূল (TMC)। শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দলটিকে নিয়ে বাংলার শাসকদল যেমন তির্যক মন্তব্য করছে, তেমনই কংগ্রেস হাতিয়ার করেছে তৃণমূল-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগকে। মেঘালয়ের নির্বাচনী (Assembly Meghalaya Election) প্রচারে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের পালটা দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) খোঁচা, বিজেপিকে সাহায্য করতেই মেঘালয়ে লড়াইয়ে নেমেছে তৃণমূল। এবার তাঁকে জবাব দিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বললেন, ”বিজেপির বিকল্প একমাত্র তৃণমূলই। তারাই পারে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে।”
গত বুধবার মেঘালয়ের প্রচারে গিয়ে সরাসরি তৃণমূলকে বিঁধে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “আপনারা তৃণমূলের ইতিহাস জানেন। বাংলায় আজ কী পরিমাণ দুর্নীতি আর হিংসা আপনারা জানেন। ওরা গোয়াতেও (Goa) প্রচুর প্রচুর টাকা খরচ করেছে। লক্ষ্য ছিল বিজেপিকে (BJP) সাহায্য করা। এবারও ওদের এমনটাই পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক বিজেপিকে শক্তিশালী করাটাই ওদের লক্ষ্য।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওইদিনই মেঘালয়ের এক সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে কংগ্রেস। ওরা লড়াইটাই করতে পারে না।”
এবার রাহুল গান্ধীকে জবাব দিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর কথায়, “যদি কংগ্রেস লড়াইটা ঠিকমতো করতে পারত, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে এখানে লড়তে আসতে হতো না। যা কংগ্রেস পারেনি, তার জন্য আমরা, তৃণমূল, একধাপ এগিয়ে গিয়েছি। আমাদের কী করা উচিৎ ছিল তবে? ঘরে বসে দেখা যে আরেকটি রাজ্যেও বিজেপি জিতে সরকার তৈরি করছে? মেঘালয়বাসীকে আমরা বিকল্প সরকার দিতে চাই। আর বিজেপির বিকল্প একমাত্র তৃণমূলই।”
মহিলা ভোটাররা বড় সমর্থন, তা জানিয়ে মহুয়া আরও বলেন, “আমাদের ক্ষমতা বদলে দেওয়ার শক্তি আছে। পুরুষ ভোট বাদ দিন। শুধু মহিলারাই যদি ভোটাধিকার ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে নর্থ শিলংয়ে আমাদের প্রার্থী এলগিভা গনেথ রিনঝাই জিতবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.