সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যশবন্ত সিনহা সম্মিলিত বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ায় উচ্ছ্বসিত তৃণমূল শিবির। মঙ্গলবার যে ১৮ দলের বৈঠকে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে যশবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha) নামে সিলমোহর পড়েছে, তাতে তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন খোদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সিনহার প্রার্থী হওয়া নিয়ে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি অভিষেক।
বৈঠক শেষে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেই দিয়েছেন, “যশবন্ত সিনহা (Mamata Banerjee) তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। এটা তৃণমূলের জন্য গর্বের ব্যাপার। বাংলার জন্য গর্বের ব্যাপার। দীর্ঘদিন তিনি বাংলার সঙ্গে যুক্ত। জাতীয় স্তরে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রায় এক-দেড় বছর তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হিসাবে কাজ করেছেন। আবার প্রমাণ হয়ে গেল বাংলা আজ যা ভাবে আগামী দিনে দেশ তাই ভাবে।” যশবন্তই ভারতের সংবিধানের ধারক হওয়ার সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি বলে দাবি করেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তাঁর সাফ কথা, যেভাবে কেন্দ্রের শাসক দল বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে সংবিধানকে কলুষিত করছে, তা রুখে দিতে পারেন যশবন্ত। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনই যোগ্যতার প্রমাণ দিচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের প্রার্থী হিসাবে এর আগে শরদ পওয়ার (Sharad Pawar), ফারুখ আবদুল্লাহ, গোপালকৃষ্ণ গান্ধীদের নাম ভেসে আসছিল। তবে বিভিন্ন কারণে এরা লড়াই থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন। সূত্রের দাবি, এরপরই শরদ পওয়ার যশবন্তের নাম প্রস্তাব করেন। যদিও আগেই মমতার সঙ্গে এ বিষয়ে পওয়ারের আলোচনা হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। মমতার সেই প্রার্থীকে স্বীকৃতি দেওয়ায় বিরোধী শিবিরের অন্যান্য দলকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য,”আমি কংগ্রেস (Congress), সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি-সহ সমস্ত বিরোধী দলকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। বিজেপির বিরুদ্ধে যারা মাঠে ময়দানে নেমে লড়াই করছেন, তাঁরা সকলেই আমাদের প্রার্থীকে সমর্থন করবেন। নিজেদের বিভেদ ভুলে আমাদের একসঙ্গে লড়তে হবে।”
এই প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত কোনও নেতা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়ছেন। তাও আবার সম্মিলিত বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হিসাবে। এটা জাতীয় স্তরে দলের গুরুত্ব অনেকটা বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে এরাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল মনে করছে, যেভাবে কংগ্রেস, বাম-সহ সব বিরোধী দল যশবন্তকে প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে বাধ্য হল, তাতেই বোঝা যায় জাতীয় রাজনীতিতে মমতা এখন কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.