বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: হিংসা বিধ্বস্ত দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে যাচ্ছে তৃণমূল সংসদীয় দল। শুক্রবার তৃণমূল সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা যাবেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন ও মহুয়া মৈত্র ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন সাংসদ দলে থাকবেন। জাহাঙ্গিরপুরীতে বাঙালি সংখ্যালঘুদের উপর যে আক্রমণ হয়েছে, আগেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তার প্রতিবাদ করা হয়। গরিব মানুষের জীবন-জীবিকা এবং মাথার ছাদের উপর যেভাবে বুলডোজার চালানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে তার তীব্র নিন্দা করা হয়।
জাহাঙ্গিরপুরী (Jahangirpuri) এলাকার একটি মসজিদের সামনে দিয়ে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা যাওয়ার সময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে। একটি গোষ্ঠীর দাবি, শোভাযাত্রা চলাকালীন স্থানীয়রা ইট-পাথর ছোঁড়া শুরু করে। অপর গোষ্ঠীর আবার দাবি, শোভাযাত্রা থেকেই স্থানীয় দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়, মসজিদে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন বাঙালি। এখনও পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছে সুখেন সরকার ও সুরেশ সরকারের নামের দুই ব্যক্তি। এছাড়াও এই ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ মহম্মদ আসলামের বঙ্গ-যোগের সন্ধান আগেই মিলেছে। জানা গিয়েছে, আনসার হলদিয়ার ডোকারের বাসিন্দা। পাশাপাশি আরও দুই অভিযুক্ত সোনু শেখ ও আনসার শেখও হলদিয়ারই বাসিন্দা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
সোনু ও আনসার হলদিয়ার রীতিমতো ধনী ঘরের সন্তান। পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে তাদের। অভিযুক্তদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশের ১৪টি তদন্তকারী দল। আসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গুলি চালানোর। সে করোনা কালে লকডাউনের সময় হলদিয়াতেই ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর আগে ২০২০ দাঙ্গায় তার নামে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এদিকে অভিযুক্ত সুখেনের স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.