নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: মোদি সরকার ‘বাঙালি-বিরোধী’। রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার এভাবেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দামানের সেলুলার জেলে দুই বাঙালি উল্লাসকর দত্ত ও বারীন ঘোষের কোনও মূর্তি রয়েছে কিনা, না থাকলে ভবিষ্যতে কোনও মূর্তি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন। আর তাঁর প্রশ্নের জবাবেই সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনও মূর্তি নেই। এবং ভবিষ্যতে স্থাপনের পরিকল্পনাও নেই। এরপরই ক্ষোভপ্রকাশ করে তৃণমূল।
পরে সংসদ থেকে বেরিয়ে ঋতব্রত বলেন, ”এই সরকার যে উল্লাসকর, বারীনের মতো বিপ্লবীদের অবদানকে তুচ্ছ করে দেখছে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এই সরকার সম্পূর্ণ ভাবেই বাঙালি বিরোধী।” এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি ঋতব্রত জানতে চান, সেলুলার জেলে কতজন ব্রিটিশ আমলে বন্দি ছিলেন। জবাবে সংস্কৃতি মন্ত্রক জানায়, মোট ৫৮৫ জন বন্দি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৯৮ জনই বাঙালি। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পাঞ্জাব। সেরাজ্যের ৯৫ জন রয়েছেন তালিকায়। এরপরই তিনি জানতে চান, আন্দামানের সেলুলার জেল জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভ কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্র জানায়, এমন কোনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
তৃণমূল সাংসদের দাবি, সেলুলার জেলে সবচেয়ে বেশি অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছিল বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তকে।এবং তাঁকে বৈদ্যুতিক শক দিতে রীতিমতো কলকাতা থেকে ব্যাটারি আনানো হয়েছিল। একইভাবে অত্যাচারিত হয়েছিলেন বারীনও। ১৯১৫ সালে সেলুলার জেল থেকে পালিয়েছিলেন। যা সেযুগে কার্যতই ‘অসম্ভব’ ছিল। এই সব ঘটনার উল্লেখ করেই দুই বিপ্লবীর আবক্ষ মূর্তি কেন সেলুলার জেলে নেই সেই প্রশ্ন তোলেন ঋতব্রত।উত্তর পেতেই ‘বাঙালি-বিরোধী’ তোপ দেগে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.