নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: গুজরাটে দলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের (Saket Gokhale) অনৈতিক গ্রেপ্তারি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল তৃণমূল। সোমবার তৃণমূলের ৫ সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সাকেতের গ্রেপ্তারির ব্যাখ্যা চেয়েছে। সূত্রের খবর, কমিশন (Election Commission) বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হবে বলেও তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
মোরবির সেতুভঙ্গ নিয়ে একটি বিতর্কিত টুইটের জেরে ৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশ। একটি RTI-এর কপি সম্বলিত টুইট শেয়ার করে সাকেত দাবি করেছিলেন, মোরবির সেতুভঙ্গের পর মোদির গুজরাট সফরে খরচ হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। কিন্তু এই তথ্যকে ভুয়ো বলে দাবি করে গুজরাট পুলিশ (Gujarat Police)। বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল মুখপাত্রকে। কিন্তু আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যান সাকেত। ছাড়া পাওয়ার পর ফের তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় অন্য একটি মামলায়। এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যান সাকেত।
বস্তুত, গোখলের গ্রেপ্তারি একপ্রকার মুখ পুড়িয়েছে গুজরাট প্রশাসনের। ঘটনাচক্রে সেসময় গুজরাটে জারি ছিল আদর্শ নির্বাচন বিধি। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কমিশন বিজেপির ইশারায় অনৈতিকভাবে কাজ করছে। সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে কমিশনে গিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে এসেছেন। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সৌগত রায় (Sougata Roy), কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, প্রতিমা মণ্ডল এবং মৌসম নূর।
তৃণমূলের বক্তব্য, সাকেতের টুইট কোনও আইন ভঙ্গ করেনি তাও তাঁকে অনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ বিজেপির (BJP) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দিনরাত সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অভিনেতা পরেশ রাওয়াল বাঙালিদের অপমান করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন তৃণমূল প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনার পর এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করার আশ্বাস দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.