Advertisement
Advertisement
অমিত শাহ

‘বিজেপি নয়, সহানুভূতি কুড়োতে তৃণমূলই মূর্তি ভেঙেছে’, বিস্ফোরক অমিত শাহ

মূর্তি কলেজের বাইরে এল কী করে, প্রশ্ন বিজেপি সভাপতির।

TMC behind Vidyasagar bust vandalization, says Amit Shah
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 15, 2019 12:22 pm
  • Updated:May 15, 2019 12:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি কর্মীরা মূর্তি ভাঙেনি, বরং তৃণমূলই সহানুভূতি কুড়োনোর জন্য বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ’র। নিজের দাবি প্রমাণ করার জন্য কয়েকটি যুক্তিও দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। বলা ভাল, তৃণমূল কংগ্রেস তথা প্রশাসনের বিরুদ্ধে কয়েকটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর দাবি, সন্ধে সাড়ে সাতটার সময় কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখনও তৃণমূল কর্মীরা কলেজের ভিতরে কী করছিল? কলেজের গেট বন্ধ ছিল, তৃণমূল কর্মীরা ভিতরে ছিল, বিজেপি কর্মীরা বাইরে ছিল, মাঝে পুলিশ ছিল তাহলে বিজেপি কর্মীরা কীভাবে মূর্তি ভাঙবে? ভিতর থেকে কীভাবে মূর্তি বাইরে এল? ঘরের চাবি কার কাছে ছিল? বিজেপি কর্মীদের কাছে তো ছিল না?

[আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগরের মূর্তিভঙ্গে অমিত শাহ’র বিরুদ্ধে FIR, বিকেলে ধিক্কার মিছিলে মমতা]

বিজেপি সভাপতির স্পষ্ট দাবি, নজিরবিহীন রিগিং সত্ত্বেও রাজ্যে ৬ দফার নির্বাচনের পরই নিজেদের হারের আভাস পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। তাই শেষ দফার আগে সহানুভূতি কুড়োতে নিজেরাই মূর্তি ভেঙেছে। তিনি বললেন,”ভয় পেয়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার মতো ঘৃণ্য কাজ তৃণমূল করতে পারে এটা ভেবে আমার নিজেরই খারাপ লাগছে। হারের আশঙ্কা থেকেই এই কাজ ওরা করেছে। বাংলার মানুষ ভোট বাক্সে এর জবাব দেবে।” তিনি আরও দাবি করেন, এদিন তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা করেছিল তৃণমূলই। কলেজের ভিতর থেকে ইট, লাঠি ইত্যাদি ছোঁড়া হচ্ছিল। বিজেপি সভাপতি বলেন, “আমি ভাগ্যের জোরে ওখান থেকে বেঁচে ফিরেছি। সিআরপিএফের নিরাপত্তা ছিল বলে বেঁচে ফিরতে পেরেছি। না হলে আমার পক্ষে বেঁচে ফেরা খুব মুশকিল হত।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন: “বঙ্গ সংস্কৃতির অহংকার ভূলুণ্ঠিত,” মত বিদ্বজনদের]

বিজেপি সভাপতি যতই দাবি করুন যে মূর্তি বিজেপি কর্মীরা ভাঙেননি, বেশ কয়েকটি ভাইরাল ভিডিওতে কিন্তু দেখা গিয়েছে কলেজের বাইরে উধ্যত আচরণ করছেন গেরুয়া পোশাকধারীরাই। কতগুলি বাইকও জ্বালিয়ে দিতে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরের কর্মীদেরই। এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ’র দাবি, যে বাইকগুলির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি বিজেপি কর্মীদেরই। তাঁর পালটা প্রশ্ন, আমরা কি নিজেদের বাইক নিজেরাই জ্বালাব? সাংবাদিক বৈঠকে নিজের বক্তব্যের প্রমাণ স্বরূপ কয়েকটি ছবিও দেখান বিজেপি সভাপতি। সেই সঙ্গে বাংলায় নির্বাচনক কমিশনের ভূমিকা নিয়েও তোলেন প্রশ্ন। কিন্তু এসবের মাঝে একটা ফাঁক হয়তো তিনি রেখেই দিলেন। আসলে, বিদ্যাসাগর কলেজে সান্ধ্যকালীন পাঠক্রম চালু আছে। সেকথা না জেনেই হয়তো বিজেপি সভাপতি দাবি করলেন, সাড়ে সাতটার সময় কলেজ বন্ধ থাকার কথা।এদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের একাংশ বাংলায় গণতন্ত্র বাঁচানোর দাবিতে দিল্লির যন্তরমন্তরে বিক্ষোভে বসেছেন।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement