বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: এক দেশ এক নির্বাচনের তীব্র বিরোধিতা করল তৃণমূল-সহ বিজেপি বিরোধী দলের নেতৃত্ব। মঙ্গলবার ‘এক দেশ এক ভোট’ সংক্রান্ত হাই লেবেল কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিরোধী দলের নেতৃত্ব। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূলের তরফে দেখা করেন দুই সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠক শেষে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমরা কোনওভাবেই এক দেশ এক নির্বাচনের পক্ষে নই। বরং দলবদল আইন কেন্দ্র আরও কঠোর করুক। আসলে এক দেশ এক নির্বাচনের আড়ালে কেন্দ্রীয় সরকারের লুকানো মতলব রয়েছে।” সিপিএম, এনসিপির মতো বিজেপি বিরোধী দলের নেতৃত্বও এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বলে জানা গিয়েছে।
এক দেশ এক নির্বাচন সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখতে রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি হাই লেবেল কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যনৈতিক দল ছাড়াও বর্তমান ও প্রাক্তন বিচারপতি, যোজনা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছাড়াও সমাজে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্যক্তিদের মতামত নিচ্ছে এই কমিটি। এদিন আলাদা আলাদা করে তৃণমূল-সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা। এদিন তৃণমূলের দুই সাংসদ মারফত রামনাথ কোবিন্দকে একটি চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ভারত এক বিশাল দেশ। ২৯টি রাজ্য, ৮টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ও ১৪০ কোটি জনসংখ্যা। এত দল এত রাজ্য। ১৯৫২ থেকে যে নির্বাচন শুরু হয়, তখন এত রাজ্য ও রাজনৈতিক দল ছিল না। এখন এটা স্পষ্ট যে, যে কোনও সময় দল ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দেওয়া যায়। এই অবস্থায় দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অক্ষত রাখতে ও সংসদীয় গণতন্ত্র যাতে বিপন্ন না হয়, সেদিকে জোর দেওয়ার প্রয়োজন। আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছি দেশে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গর্ভমেন্ট’ গঠনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তারই পদক্ষেপ হিসাবে এটা লুকনোর পরিকল্পনা। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.