নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনারের বৈঠকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। আচমকা বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে এই বৈঠকে বাধা দেওয়া হয় বলেই দাবি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এবং সাখেত গোখলের। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগে সরব তাঁরা।
বাংলার ৩ মন্ত্রী শশী পাঁজা, বাবুল সুপ্রিয় এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনার। মূলত রাজ্যের উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনার কথা ছিল। তবে তৃণমূলের দাবি, সাক্ষাৎ করতে দেওয়া যাবে না বলেই বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। কিন্তু কী কারণে দুপক্ষের সাক্ষাৎ সম্ভব নয়, সেই কারণ অবশ্য বিদেশমন্ত্রকের উল্লেখ করা হয়নি। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন দুই সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এবং সাখেত গোখলে। বিদেশি বিনিয়োগ রুখতে কেন্দ্রের তরফে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ।
এছাড়া, লোকসভা নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষাকে প্রভাবিত করে শেয়ার বাজারে কারচুপির অভিযোগেও আরও একবার সুর চড়িয়েছে শাসক শিবির। বলে রাখা ভালো, এক্সিট পোলে মোদি সরকারের বিপুল আসনে জয়লাভের ইঙ্গিতের পরই শেয়ার বাজারে কার্যত বিস্ফোরণ হয়! রাতারাতি ফুলে-ফেঁপে ওঠে বাজার। উলটো দিকে ভোটের ফলপ্রকাশের দিন সেই বাজারই সুখা। মাঝখান থেকে উধাও বিনিয়োগকারীদের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা। এই ইস্যুতে প্রথম থেকেই সরব তৃণমূল। মঙ্গলবারই সেবি অফিসের বাইরে বিক্ষোভও দেখায় বাংলার শাসক শিবির। বুধবার সেই ইস্যুতে আবারও সুর চড়ান সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। তিনি জানান, “সেবির তরফ থেকে শুধু মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব। দোষী প্রমাণিত হলে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইব।” আগামিদিনে সংসদেও এই বিষয়ে তৃণমূল সরব হবে বলেও জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.