সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতান্ত্রিক দেশে শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করে নির্বাচিত সরকার। প্রয়োজনে নতুন আইন তৈরি করা এমনকী, সংবিধান সংশোধনও করতে পারেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু, সরকার যদি ক্ষমতা অপব্যবহার করার চেষ্টা করে কিংবা মানুষের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে না আসে? সেক্ষেত্রে আদালতের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া নাগরিকদের কাছে আর কোন উপায় থাকে না। বিভিন্ন জনস্বার্থ মামলায় সরকারকে নানা নির্দেশও দেয় আদালত। কিন্তু, মানুষের এমন কিছু সমস্যা থাকে, যার সমাধান করার ক্ষমতা দেশের শীর্ষ আদালতেরও থাকে না। কারণ বিচারপতিরা ভগবান নন। সম্প্রতি এক জনস্বার্থ মামলায় এভাবেই নিজেদের অসহায়তার কথা স্বীকার করে নিল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
[এবার ব্যাঙ্কে গ্রাহকদের অভাব-অভিযোগ শুনবে রোবট!]
বিষয়টি ঠিক কী? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র পরিসংখ্যান বলছে, সারা বিশ্বে মশাবাহিত রোগে সাত লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বস্তুত, কলকাতায়ও প্রতিবছর ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, মশা নিধন নিয়ে সরকারের কোনও মাথাব্যথা নেই। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধানেশ লেশধান নামে এক ব্যক্তি। দেশের শীর্ষ আদালতের কাছে তাঁর আর্জি ছিল, মশা মারার জন্য সরকারকে একটি অভিন্ন নির্দেশিকা জারি করতে বলুক আদালত। মামলাটি গ্রহণও করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি মদন বি লোকুর ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘আমরা ভগবান নই। তাই যে কাজ একমাত্র ভগবান করতে পারে, সেই কাজ আমাদের করতে বলবেন না।’ সুপ্রিম কোর্ট এও বলেছে, দেশ থেকে মশা নির্মূল করে দিতে হবে। সরকারকে এমন নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার আদালতের নেই।
[এবার গুগল ডুডলে শ্রদ্ধা বাঙালি মহিলা বিজ্ঞানীকে]
বস্তুত, সারা বিশ্বের পতঙ্গবিদরাও এ বিষয়ে একমত, যে মশার কামড় থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, জিকার মতো প্রাণঘাতী রোগের ছড়ায় ঠিকই। কিন্তু, সারা পৃথিবী থেকে মশা নির্মূল করে দেওয়া সম্ভব নয়। বড় জোর, ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমানো যেতে পারে।
[মুম্বই এসেছিল দাউদের স্ত্রী, চাঞ্চল্যকর দাবি কাসকারের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.