সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের বহু সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে রয়েছে মানুষের বসতি। এমনকী জঙ্গলের ভেতরেও রয়েছে গ্রাম। ফলে বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষ ও সহাবস্থান দুই সত্য। তারই জলজ্যান্ত উদাহরণ দেখা গেল মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) পান্না ব্যাঘ্র উদ্যানে (Panna Tiger Reserve)। নতুন বছরের শুরুতে সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে মৃত্যু হয়েছে একটি পূর্ণ বয়স্ক বাঘ ও একটি হায়নার। দিন দুই আগে ওই দু’টি বন্যপ্রাণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয়রা বুনো শুয়োরের থেকে ফসল বাঁচাতে বিদ্যুতের ঘেরাটোপ তৈরি করেছিল। কিন্তু বুনো শুয়োরের বদলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাঘ ও হায়নার। এই ঘটনায় নড়চেড়ে বসেছে বনদপ্তর।
বুধবার মধ্যপ্রদেশ বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ৩ জানুয়ারি রাতে পান্না ব্যাঘ্র উদ্যানের কিশানগড় এলাকায় ওই বাঘ ও হায়নার দেহ শনাক্ত হয়েছে। আধিকারিকদের অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে প্রাণী দু’টির। জঙ্গলের পাশের গ্রামে মানুষ চাষবাস করেন। বুনো শুয়োর সেই ফসল নষ্ট করে। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই বিদ্যুতের তারের ঘেরাটোপ ছিল অরণ্য সংলগ্ন খেতে। তাতেই শক লেগে মৃত্যু হয়েছে বাঘ ও হায়নার। পরে হায়না ও বাঘের দেহ উদ্ধার করে বনদপ্তর। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি, সভাধিপতি তথা বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, বনদপ্তরের কেন্দ্রীয় চক্রের মুখ্য বনপাল কুলান ডাইভেল, পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.