সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাখে হরি মারে কে? এক টিকিট চেকারের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ২০ বছরের সন্দীপ সোনার। চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে ট্রেন ও লাইনের মাঝে পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময়ই ওই টিকিট চেকার তাঁকে টেনে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে আসায় এযাত্রায় রক্ষা পেয়ে গেলেন ওই যুবক।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে। মুম্বইয়ের কল্যাণ স্টেশনে চলন্ত পুষ্পক এক্সপ্রেসে উঠতে যাচ্ছিলেন সন্দীপ। ট্রেনে সে সময় প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। গতিও রয়েছে বেশ। এই অবস্থায় দৌড়ে ট্রেনে উঠতে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঠিক সে সময় রক্ষাকর্তার মতো হাজির হন সেন্ট্রাল রেলের মুখ্য টিকিট ইনস্পেকটর ৪৮ বছরের শশীকান্ত চাভান। তিনি ওই যুবককে টেনে প্ল্যাটফর্মে সরিয়ে আনেন। এমনটা না করলে আগামী কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ট্রেনের চাকার নিচে চলে যেতে পারতেন সন্দীপ। স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরায় গোটা দৃশ্যটাই ধরা পড়েছে।
শশীকান্ত গত ২৬ বছর ধরে সেন্ট্রাল রেলওয়েতে কর্মরত। এই ঘটনার রেশ কাটিয়ে ওঠার পর বলছেন, ‘কল্যাণ স্টেশনে আসার পর আমি এক সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখনই এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢুকছিল। দেখতে পাই, ওই যাত্রী বিপজ্জনকভাবে চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। ওই অবস্থায় আগামী কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মের মধ্যেকার সরু ফাঁকটায় উনি পড়ে যেতে পারতেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই ও তাঁকে টেনে সরিয়ে আনি।’ শশীকান্তবাবুর উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করে সেন্ট্রাল রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুনীল উদাসি বলেন, ‘তাঁর জন্য এক যাত্রীর প্রাণ বাঁচল। রেলের পক্ষ থেকে তাঁকে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে।’ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এক্ষেত্রে ওই যাত্রীরই কি খানিকটা সাবধান হওয়া উচিত ছিল না? বিশেষত যখন রেলের তরফে বারবার প্রচারে বলা হচ্ছে, যে বিপজ্জনকভাবে ট্রেনে ওঠানামা করবেন না। একটি ট্রেন চলে গেলে পরে ট্রেনটি আসতে খানিকটা দেরি হতে পারে, কিন্তু প্রাণটা তো বাঁচবে। বাড়িতে তো সুরক্ষিতভাবে পৌঁছতে পারবেন। এভাবে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কি লাভ আখেরে?
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.