Advertisement
Advertisement
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

অগ্নিগর্ভ অসমে ‘পুলিশের গুলিতে’ নিহত ৩ বিক্ষোভকারী, মেঘালয়েও বন্ধ ইন্টারনেট

কারফিউ উপেক্ষা করেই গুয়াহাটির রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ।

three protesters were killed and many others injured in police firing
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 12, 2019 8:58 pm
  • Updated:December 12, 2019 9:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত অন্তত ৩ জন বিক্ষোভকারী। বৃহস্পতিবারই গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ দেখানোর সময় আহত হয়েছিলেন তাঁরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ৩ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁদের প্রতিবাদ মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। যাঁর জেরে ‘শহিদ’ হয়েছেন ওই তিনজন। আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পালটা পুলিশ সূত্রের দাবি, কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। তাই বাধ্য হয়ে গুলি চালায় পুলিশ।


বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ এই প্রথম নয়। প্রায় গোটা রাজ্যেই অসমীয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে। সকাল থেকেই রাজধানী দিসপুর, গুয়াহাটি-সহ বঙ্গাইগাঁও, গোলাঘাট, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, জোরহাট, মাজুলির মতো জেলাগুলিতে পথ অবরোধ শুরু হয়েছে। গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ের রাস্তায় ফ্ল্যাগ মার্চ করছে সেনা। বিপদ বুঝে একাধিক অঞ্চলে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করেছে প্রশাসন। গুয়াহাটিগামী সমস্ত ট্রেন এবং বিমান বাতিল করা হয়েছে। ত্রিপুরা থেকেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গুয়াহাটির। কিন্তু তাতেও দমন করা যাচ্ছে না বিক্ষোভকারীদের। কারফিউ উপেক্ষা করেই পথে নামছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই, রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতামন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনেও ঢিল ছুঁড়েছে বিক্ষোভকারীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অযোধ্যা রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট]


এদিকে, বিক্ষোভের আঁচ অসমের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গিয়েছে মেঘালয়েও। বৃহস্পতিবার শিলং জুড়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। কংগ্রেসের তরফে আলাদা করে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিক্ষোভের গুরুত্ব বুঝে মেঘালয়েও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী ৪৮ ঘণ্টা মেঘালয়বাসী ইন্টারনেট পাবেন না। পরবর্তীকালে এই মেয়াদ বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ইন্টারনেটের পাশাপাশি এসএমএস পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। রাত ১০টার পর থেকে শিলংয়ের বিভিন্ন প্রান্ত কারফিউ জারি করা হবে। ত্রিপুরার বেশ কিছু অঞ্চলেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয়রা।

[আরও পড়ুন: বাংলা-সহ গোটা দেশেই হবে NRC, মমতাকে কড়া বার্তা অমিত শাহের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement