ছবি:প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে সন্ত্রাসদমনে ফের বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় সেনা। মঙ্গলবার রাতে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে ৩ জেহাদিকে খতম করল সেনা। নিকেশ ৩ সন্ত্রাসবাদীই স্থানীয় একটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। তাঁদের ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা গিয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর।
J&K: The 3 terrorists killed in encounter in an operation by the Army, CRPF and J&K Police in Tral of Pulwama district., have been identified as Jangeer Rafiq Wani, Raja Umar Maqbool Bhat&Uzair Amin Bhat. All 3 terrorists belong to the terror outfit ‘Ansar Ghazwa ul Hind’. https://t.co/g7jA1YhIT5
— ANI (@ANI) February 19, 2020
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধেয় ত্রাল সেক্টরে জঙ্গিদমন অভিযান চালায় ভারতীয় সেনার যৌথ বাহিনী। এই বাহিনীতে ছিলেন রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (Army Special Operations Group), এবং সিআরপিএফের (CRPF) জওয়ানরা। ত্রালের দিভার গ্রামে চিরুনি তল্লাশি চালানোর সময় ওই এলাকায় জঙ্গিদের অস্তিত্ব টের পায় সেনা। আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই জেহাদিরা। এরপর রাতভর চলে গুলির লড়াই।
সেনা সূত্রের খবর, গুলির লড়াইয়ে তিন জেহাদি নিকেশ হয়েছে। এরা হল জাঙ্গির রফিক ওয়ানি, রাজা উমর মকবুল এবং উজির আমিন বাট। এরা সকলেই আনসার-গাজওয়া-উল-হিন্দ নামের একটি স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ওই জঙ্গিরা ত্রাল এলাকায় ঠিক কী উদ্দেশ্যে ঘাঁটি গেড়েছিল তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। এদের বড়সড় কোনও নাশকতার ছক ছিল কিনা, তাও জানা যায়নি।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, নিকেশ ৩ জঙ্গির কাছে প্রচুর অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানিয়েছেন, “তিন জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের শনাক্তও করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ওরা স্থানীয় জঙ্গি। ওদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্রসস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।” উল্লেখ্য, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীরে স্থানীয় যুবকদের উত্যক্ত করে অশান্তি বাঁধানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এই আনসার-গাজওয়া-উল-হিন্দ নামের সংগঠনটিও পাক প্ররোচনার ফলে তৈরি বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.