সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশাল ট্রাক ভরতি বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কাশ্মীরে ঢুকছিল জঙ্গিরা। জম্মু-পাঠানকোট হাইওয়েতে নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশের হাতে বমাল ধরা পড়ল তারা। ধৃতরা পাক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই কাশ্মীরজুড়ে বড় রকমের নাশকতার ছক কষেছিল তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল আটটা নাগাদ পাঞ্জাব থেকে কাশ্মীরের কাঠুয়ার দিকে যাচ্ছিল বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাকটি। জম্মুর আইজিপি মাকেস সিং জানান, বিস্ফোরক ছাড়াও ট্রাকটির ভিতর থেকে ছ’টি একে-৪৭ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ভাল করে ট্রাকের ভিতরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কারণ ট্রাকটিতে অন্যান্য সামগ্রীর আড়ালে রাখা ছিল বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। আরও কোথাও বিস্ফোরক লুকানো আছে কি না তা দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্জাবের বামিয়াল থেকে কাঠুয়া আসছিল ট্রাকটি। ট্রাকটির মালিক কাশ্মীরের পুলওয়ামার গুলশনাবাদের বাসিন্দা। তাঁর নাম সুশীল লাট্টু। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আটক জঙ্গিদের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসাজশ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের সন্দেহ, জঙ্গিদের পাঞ্জাব-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ট্রাকে উঠিয়ে নিয়েছিল ট্রাক মালিকের সঙ্গীরাই। পরে হয়তো তারা কোথাও পালিয়ে যায়। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তান। এরপরই তাকে কাশ্মীরে জঙ্গিদের ঢুকিয়ে হামলার নির্দেশ দেয় পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। যদিও এদিন ট্রাক থেকে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন নিজেদের কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে।
তবে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সন্দেহ, তিনজনই পাঠানকোটের কাছে ভারত-পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমানা ও বামিয়াল সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে। আর এই কাজে তাদের সাহায্য করেছে কাশ্মীরের কয়েকজন সন্দেহভাজন বাসিন্দা। তবে তারা ট্রাকটি কীভাবে জোগাড় করল এবং এই বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক কোথা থেকে পেল তা জানতে ধৃতদের লাগাতার জেরা করছে কাশ্মীর পুলিশ ও গোয়েন্দারা। এর আগে পাঠানকোটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার সময় জঙ্গিরা যে পথ দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল, সেই পথই এবার ব্যবহার করা হয়েছে কি না তাও দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি গোয়েন্দা বাহিনী সাবধান করে জানিয়েছিল, পাকিস্তান-কাশ্মীর সীমান্তে প্রচুর লঞ্চ প্যাড তৈরি করেছে জৈশ জঙ্গিরা। সেখানে প্রায় ৫০০ জঙ্গি আছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.