ছবি - প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যু। এবার ঘটনাস্থল ছত্তিশগড়। রাজ্যের উত্তর দিকের প্রতাপপুর জঙ্গল থেকে ওই হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেন বনবিভাগের কর্তারা। ওই হাতিটি ২০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। প্রতাপপুর ফরেস্টের রেঞ্জ অফিসার একথা জানিয়েছেন। সুরজপুর জেলার বন আধিকারিকরা জানিয়েছেন মঙ্গলবার ওই হাতিটির দেহ উদ্ধার হয়। এরপর অন্তঃসত্ত্বা হাতিটির দেহ পোস্টমর্টেমে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট হাতে আসে। জানা যায় তার লিভারে সিস্ট ছিল। যা সংক্রমিত হয়ে পড়ে দেহে অন্যান্য অঙ্গে। যার ফলে মৃত্যু হয় হাতিটির।
প্রতাপপুর জঙ্গলের ওই অন্তঃসত্ত্বা হাতিটি ছাড়া আরও দু’টি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ছত্তিশগড়ের বনবিভাগ। বুধবার প্রতাপপুর রেঞ্জের মধ্যেই প্রথম হাতিটি যেখানে পাওয়া গিয়েছিল, তার থেকে ৩০০ মিটার দূরত্বে আরও একটি মহিলা হাতির মৃতদেহ পাওয়া যায়। বনবিভাগের আশঙ্কা এই হাতিটিরও মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। কিন্তু পোস্টমর্টেম না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। তৃতীয় হাতির দেহ পাওয়া গিয়েছে গোপালপুর এলাকায়। এই হাতিটির মৃত্যু সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, কেরলে সম্প্রতি একটি অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যু শোরগোল ফেলেছে দেশজুড়ে। ২৩ মে প্রথম রক্তাক্ত অবস্থায় হাতিটিকে দেখা যায় বলেই দাবি বনাধিকারিকদের। তবে ২ জুন তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কেরলের বনাধিকারিক মোহন কৃষ্ণণ সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্তঃসত্ত্বা হাতিটির মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। তারপরই ঘৃণ্য এই ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে যায়। ঠিক কী হয়েছিল? খাবারের খোঁজে ওই হাতিটি জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে। কিন্তু হাতিকে লোকালয়ে দেখামাত্রই প্রমাদ গুনতে থাকেন স্থানীয়রা। তাঁরা ভাবেন এই বুঝি হাতিটি কাঁচাবাড়ি কিংবা ফসলের ক্ষতি করবে। কারও প্রাণহানিরও কারণ হয়ে উঠতে পারে সে। তাই তাকে আনারসের ভিতরে বাজি ভরে খেতে দেওয়া হয়। ওই আনারস খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে হাতিটি। এরপর সে জ্বালা যন্ত্রণা লাঘব করতে বহু পথ হেঁটে একটি নদীতে শরীর ডুবিয়ে বসেছিল। সেখানেই মারা যায় অন্তঃসত্ত্বা ওই হাতিটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.