সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাটকের শেষ দেখার অপেক্ষায় গোটা দেশ ।তবে পর্দা উঠছে একটু একটু করে। আর প্রতিবার থাকছে নতুন নতুন চমক। রাম রহিম জেলের চার কুঠুরিতে আপাতত। কিন্তু তাকে নিয়ে তথ্য ফাঁসের কোনও শেষ নেই। জানা গেছে ২০১৭ সালে যাতে গুরমিত রাম রহিম সিং সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্ম পুরস্কার পায়, সেজন্য ৪ হাজার ২০৮ জন সুপারিশ করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে।
[রাম রহিমের শাস্তিদাতা বিচারকের কী হল জানেন?]
ডেরা প্রধানকে ‘সন্ত ডাঃ গুরমিত রাম রহিম সিং জি ইনসান’ বলে আখ্যায়িত করে ওই সুপারিশপত্র জমা করা হয়েছিল। এগুলি সবক’টিই এসেছিল হরিয়ানা এবং সিরসা থেকে, যেখানে ৮০০ একর জায়গা জুড়ে তার ডেরা। রাম রহিমের জন্মস্থান শ্রীগঙ্গানগর থেকেও কয়েকটি সুপারিশ এসেছিল মন্ত্রকের কাছে। তবে মজার কথা, এর মধ্যে ৫টি সুপারিশ করেছিল রাম রহিম নিজেই। তিনটি ক্ষেত্রে নিজের সিরসার ঠিকানা সে ব্যবহার করেছিল, বাকি দু’টি ছিল হরিয়ানার হিসার ও রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরের।
[আমি নপুংসক, সিবিআই আদালতকে জানিয়েছিল ধর্ষক বাবা রাম রহিম]
মজার তথ্য আরও আছে। ২০১৭ সালে এত মানুষ তার পদ্ম সম্মানের জন্য আবেদন করলেও, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে কোন একটি আবেদনও কিন্তু তার নামে জমা পড়েনি। ২০১৭ সালের আবেদনগুলি খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, যারা আবেদনকারী, তারা শুধু নিজেদের প্রথম নাম ব্যবহার করেছে। তাদের কোনও নির্দিষ্ট ঠিকানা আবেদনপত্রে দেওয়া ছিল না। অমিত নামের কোনও ব্যক্তি, একাই ৩১ বার রাম রহিমকে পদ্মসম্মান দেওয়ার আবেদন করেছেন। সুনীল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এসেছে ২৭টি আবেদন পত্র, ওই একই আবেদন জানিয়ে। ২০১৭ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে পদ্ম সম্মানের সম্ভাব্য প্রাপকদের জন্য জমা পড়েছে মোট ১৮,৭৬৮টি আবেদন।
[নেতাজি হয়ে বাংলায় ঢুকতে চেয়েছিল ভণ্ড রাম রহিম]
প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক জগদীপ সিং, রাম রহিম সিংকে দু’টি পৃথক ধর্ষণের মামলায় ১০ বছর করে মোটা ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের শাস্তি দেন। পাশাপাশি দু’টি মামলায় নির্যাতিতাদের মোট ৩০,২০,০০০ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তা অমান্য করলে সাজার মেয়াদ বাড়তে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.