সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় অন্যতম অস্ত্র ‘পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট’ বা PPE। আণুবীক্ষণিক জীবের মরণ কামড় থেকে এই পোশাকই রক্ষা করে স্বাস্থ্যকর্মীদের। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় ভারতে PPE’র সংখ্যা অনেক কম। ফলে চিন থেকে আমদানির পথ বেছে নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তবে উদ্বেগ বাড়িয়ে জানা গিয়েছে, গুণগত মান নির্ণয়ের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছে কয়েক হাজার চিনা PPE।
দ্য ইকোনোমিক টাইমস সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থার দান করা বেশ কয়েক হাজার PPE ব্যবহারের অযোগ্য। এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ চিন থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার PPE দেশে পৌঁছায়। গোয়ালিয়রে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (DRDO) একটি গবেষণাগারে সেগুলির মান যাচাই করা হয়। তারপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ৫০ হাজার PPE কিটে খামতি রয়েছে। সেগুলি ব্যবহারের অযোগ্য। বিশ্লেষদের মতে করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে রত স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনও সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ এই সরঞ্জাম। ফলে প্রশ্নের মুখে পড়বে তাঁদের নিরাপত্তা। সূত্রের খবর, এপর্যন্ত চিন থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অতিরিক্ত ১০ লক্ষ PPE আমদানি করার বরাত দেওয়া হয়েছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সেগুলি দেশে পৌঁছে যাবে। সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ PPE হাতে রাখতে চাইছে সরকার।
সরকার সূত্রে খবর, বর্তমানে দেশীয় প্রস্তুতকারি সংস্থাগুলি দিনে ৩০ হাজার PPE তৈরি করছে। চলতি মাসের শেষের দিকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজারের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলবে তারা। এপর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার PPE তৈরি করেছে দেশীয় সংস্থাগুলি। শুধুমাত্র আমদানির উপর নির্ভর না করে দেশেই PPE তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন কেনা হচ্ছে। ‘হট এয়ার সিম সিলিং’ মেশিন-সহ অন্যান্য যন্ত্র হাতে পেলে দেশেই ব্যাপক হারে PPE তৈরি করা সম্ভব হবে। এদিকে, খদ্দেরদের কাছে শুধুমাত্র সরকার অনুমোদিত সংস্থাগুলির থেকে PPE কেনার আবেদন জানিয়েছে চিন। পাশাপাশি, এই অত্যন্ত জরুরি সরঞ্জামটি নিয়ে জালিয়াতি করলে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বেজিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.