সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি ও রাহুলের লড়াই নয়। এবার লোকসভা ভোট মানুষ ও মহাজোটের লড়াই। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঠিক এই ভাষাতেই মহাজোটকে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার নির্বাচনে ১৮০টির বেশি আসন পাবে না বিজেপি। সেই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি জানান, সাড়ে চার বছরের সরকারের কাজের ভিত্তিতেই মানুষ বিজেপিকে ফের ক্ষমতায় আনবে।
এদিন সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবার ভোট দু’দলের মধ্যে। যারা মানুষের স্বার্থে কাজ করছে আর যারা সেই কাজের বিরোধে ষড়যন্ত্র করছে। ৭০ বছর দেশের মানুষ সব দেখেছে। মানুষই শেষ কথা বলে।” মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বিরোধী নেতত্বকে কটাক্ষ করে বলেন, “মানুষ জানে, কারা দুর্নীতিগ্রস্ত। রাজ্যে ক্ষমতায় থাকলে রাজ্যকে লুটছে। কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকলে কেন্দ্রকে লুটেছে।” নির্বাচনে প্রধান বিরোধী কংগ্রেসকে নিয়েও মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাকে দেশের প্রথম পরিবার হিসাবে গণ্য করা হয়, যারা চার প্রজন্ম ধরে দেশ চালিয়েছে তারাই এখন আর্থিক অনিয়মের দায়ে জামিনে মুক্ত।” নোটবাতিল বা জিএসটি নিয়ে সবথেকে বেশি প্রশ্ন তুলেছিলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। মঙ্গলবারের সাক্ষাৎকারে তাঁকেও কটাক্ষ করে বলেন, “এটা খুব দুর্ভাগ্যের বিষয়, যে দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে বারবার আদালত চত্বরে আসতে হচ্ছে। রাজনৈতিক বিরোধী বলেই যে তাকে আমরা অসুবিধায় ফেলব, সেই নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। কিন্তু আদালতের নির্দেশই চূড়ান্ত।”
#PMtoANI: Congress game is different. It is a speciality of Congress-led alliance that allies are those who have come out of Congress after raising their voice against the Congress or emerged because of Congress-opposition. So when they approach the Congress, Congress usurps them https://t.co/1I2D9tE2a7
— ANI (@ANI) January 1, 2019
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের এখনও কয়েকমাস দেরি আছে। কিন্তু তার আগেই বিভিন্ন সমীক্ষায় উঠে আসছে আসন্ন নির্বাচনে ১৮০টির বেশি আসন পাবে না বিজেপি। এদিনের সাক্ষাৎকারে এবিষয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এটা কি কোনও বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা ? ২০১৩-তেও কিছু সংখ্যক মানুষ একই কথা বলেছিলেন। এবারেও সেটাই চলছে। যদি ওরা কিছু গুজব না ছড়ায়, মানুষ মহাজোটের পক্ষে কেন যাবে? মানুষের আকর্ষণ বাড়াতে এই ধরনের মন্তব্য় করা হচ্ছে।” শুধু তাই নয়, মহাজোটের তত্ত্বকেও এদিন পুরোপুরি খারিজ করে দেন মোদি। তিনি বলেন, “গত সাড়ে চারবছরে ওরা একসঙ্গে কোনও কাজ করেছে? মহাজোট কারা করছে? যাদের অস্তিত্ব এখন প্রশ্নের মুখে পড়েছে। নিজেদের বাঁচাতে একে অপরের হাত ধরছে ওঁরা। আসল খেলা এটাই। ওদের একটাই এজেন্ডা, যেনতেনপ্রকারেণ মোদিকে আক্রমণ করো। দেশের কী হবে, তা নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।”
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ও শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরের ভূমিকা নিয়ে একেবারেই খুশি নন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “চন্দ্রশেখর রাও এভাবে মহাজোটকে সমর্থন করবে, ভাবতে পারিনি।” এদিকে শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে রাহুল গান্ধীর সুরে গলা মিলিয়েছেন। এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘চৌকিদারই চোর’। কংগ্রেসের এই স্লোগান শিবসেনা প্রধানের গলায় শুনে অস্বস্তিতে পড়েন মোদি। মঙ্গলবার সাক্ষাৎকারে তা নিয়েও মুখ খুললেন তিনি। বললেন, “কখনও জোটসঙ্গীদের কোনও কোনও বিষয়ে খুশি করা যায় না। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলা। সবার কথা শোনা।”
#PMtoANI on loan waivers by Congress state Govts: To say a lie and mislead, that is what I called lollipop. Like saying ‘we have waived all farm loans’. The truth is that nothing like that has happened. Please see their own circulars, they should not mislead. pic.twitter.com/BOISilifuf
— ANI (@ANI) January 1, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.