সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী প্রশাসনিক শাখা নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ভারতকে স্থায়ী সদস্য হিসাবে সমর্থনের প্রশ্নে বেসুরো এবং অস্পষ্ট অবস্থান নিল জো বিডেনের প্রশাসন। নয়াদিল্লিকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেওয়ার বদলে গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
নিরাপত্তা পরিষদে ভারত যাতে রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিনের সঙ্গে একসারিতে সমান ক্ষমতা ভোগ করতে পারে সেজন্য ভারতের দাবিকে ন্যায্য বলে সমর্থন করেছিলেন প্রাক্তন তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশ, বারাক ওবামা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ভারতের প্রতি তাঁদের সমর্থন ছিল নিঃশর্ত। কিন্তু একধাপ পিছিয়ে বিডেনের প্রশাসনের মত, ভারতের দাবি ‘আলোচনাসাপেক্ষ’। অর্থাৎ ভারতের দাবিকে নিঃশর্ত সমর্থন জানাচ্ছে না ওয়াশিংটন। উলটে ভারতের দাবিকে ‘সময় নিয়ে ভেবে দেখার’ ও ‘রাষ্ট্রসংঘে ঐক্যমত্য গড়ে তোলার’ উপরই জোর দিতে চেয়েছে আমেরিকা (USA)।
প্রেসিডেন্ট বিডেনের পছন্দের কূটনীতিক পঞ্চাশোর্ধ্ব টমাস গ্রিনফিল্ড। মার্কিন সেনেটের বিদেশ সংক্রান্ত কমিটির তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। ডেমোক্র্যাট সেনেটেরদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রসংঘের প্রশাসনিক সংস্কার এখনই দরকার। আমেরিকাও তা মানে। ভারত-সহ জাপান, জার্মানি, ব্রাজিল যে স্থায়ী সদস্যপদের ন্যায্য দাবিদার তাও মানি। কিন্তু ভুললে চলবে না এই দেশগুলির নিজেদের এলাকাতেই এদের বিরুদ্ধবাদীরা রয়েছে। সেই দেশগুলি কফি ক্লাব নামে যে কূটনৈতিক জোট তৈরি করেছে তারও যুক্তি রয়েছে। এর সদস্য ইতালি, মেক্সিকো, চিন, পাকিস্তান, মিশর। ভূ-রাজনৈতিক কারণে ভারতের স্থায়ী পদ পাওয়া উচিত। কিন্তু চিন, পাক আপত্তি উপেক্ষা করতে পারছে না কিছু দেশ।” সব মিলিয়ে, ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে যে সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত রূপ নিয়েছিল তা বিডেন প্রশাসনের এহেন পদক্ষেপে কিছুটা নড়বড়ে হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.