Advertisement
Advertisement

জানেন, কীভাবে জঙ্গি আবু দুজানার সন্ধান পান নিরাপত্তারক্ষীরা?

আবু দুজানার উপর নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা।

This is how Lashkar commander Abu Dujana was traced
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 1, 2017 1:23 pm
  • Updated:August 1, 2017 1:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরে জেহাদি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য লাভ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। নিকেশ হয় কুখ্যাত লস্কর-ই-তৈবার কাশ্মীর শাখার প্রধান আবু দুজানা ও তার এক সাগরেদ। এনিয়ে উপত্যকায় সেনাবাহিনীর হাতে খতম হয়েছে লস্কর, হিজবুলের মতো পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিসংগঠনের একাধিক শীর্ষ নেতা। বেশ পরিকল্পিতভাবেই কাশ্মীরে নিকেশ করা হচ্ছে জঙ্গিদের। এদিনের সাফল্যও এসেছে সেই পরিকল্পনার জন্যই।

[ডোকলামে অবস্থার অবনতি, চিনের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পথে মোদি]

Advertisement

জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই জঙ্গি আবু দুজানার গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন কাশ্মীর পুলিশের গোয়েন্দারা। তাঁদের কাছে খবর ছিল যে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রায়ই পুলওয়ামার হাকরিপোরার একটি আবাসনে আসত ওই জঙ্গি। এর আগেও দু’বার ওই আবাসনে দুজানা এসেছিল বলে জানতে পারে নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপরই শুরু হয় নজরদারি। গোয়েন্দারা লক্ষ্য করেন যে আবাসনে ওই জঙ্গি আসার আগে বেশ থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও প্রত্যেকবার তার আসার একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। এদিন নজরদারি চালিয়ে আবাসনে জঙ্গিদের উপস্থিতির কথা বুঝতে পারে পুলিশ। তারপরই সাদা পোশাকে আবাসনটিকে ঘিরে ফেলে পুলিশ। প্রায় দু’ঘন্টা ধরে নজরদারির পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ দল, সিআরপিএফ ও ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এর একটি যৌথ দল।

[সেনার গুলিতে খতম শীর্ষ লস্কর নেতা আবু দুজানা]

ওই আবাসনেই লস্কর-ই-তৈবার কাশ্মীর শাখার প্রধান আবু দুজানা-সহ ১০ জঙ্গির উপস্থিতির বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীরা। জঙ্গিদের মধ্যে চার জনের কাছে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র ছিল। জওয়ানদের উপস্থিতি জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা হামলা চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। অবশেষে জঙ্গিদের ডেরা থেকে বের করে আনতে বোমা মেরে বিল্ডিংটি গুঁড়িয়ে দেয় জওয়ানরা। নিকেশ হয় দুজানা ও আরিফ লিহারি। উল্লেখ্য, মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত দুজানা। সেখান থেকেই কাশ্মীর উপত্যকায় নাশকতা চালানোর নির্দেশ আসত তার কাছে। এছাড়াও ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সাইফুল্লাহর সঙ্গেও আলাপ ছিল তার। উত্তর পাকিস্তানের বাসিন্দা ওই জঙ্গির মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে সেনার গুলিতে লস্কর কমান্ডার আবু কাসিমের মৃত্যুর পর জঙ্গিসংগঠনটির ভার নেয় দুজানা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement