সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত চেষ্টা করেও যমের মুখ থেকে মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে পারেননি৷ জীবনের সর্বস্ব জমানো অর্থ খরচ করেও মেয়ের হাঁসি মুখটা আর দেখতে পাননি হতভাগ্য বাবা৷ মারণ ব্যাধিতে মেয়েকে হারিয়ে চূড়ান্ত হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন বছর ৪৫-এর সরকারি কর্মচারী৷ মেয়েকে হারানোর শোক কাটিয়ে এবার ৪৫ ছাত্রীর পড়াশোনার খরচ বহণের সিদ্ধান্ত নিলেন ওই স্কুলেই পেশায় ক্লার্ক বাসবরাজ৷
দীর্ঘ রোগভোগের পর গতবছর বছর ১৬-র ধ্যানেশ্বরীর মৃত্যু হয়৷ মেয়ের মৃত্যুকে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেননি এমপিএইচএস হাই স্কুলের ক্লার্ক বাসবরাজ৷ মেয়েকে হারিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ স্কুলেও যাননি তিনি৷ কারণ, ওই একই স্কুলে পড়ত মেয়ে ধ্যানেশ্বরী৷ স্কুল কিংবা বাড়ি, প্রতি মুহূর্তেই মেয়েকে নজরে রাখতেন বাসবরাজ৷ কিন্তু, মারণ ব্যাধি এভাবে মেয়েকে ছিনিয়ে নেবে তা কখনওই বুঝতে পারেননি তিনি৷ বেশ কিছুদিন গৃহবন্দি থাকার পর মেয়ের স্মরণে নিজের স্কুলের ৪৫ ছাত্রীর প্রতিবছর স্কুল ফি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বাসবরাজ বলেন, ‘আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছি৷ আমরা স্কুলের ছাত্রীদের মধ্যেই আমি আমরা মেয়েকে খুঁজে নিতে চাইছি৷ তাই এই স্কুলের ৪৫ ছাত্রীর স্কুলের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’’ স্যর বাসবরাজের এই সিদ্ধান্তে খুশি পড়ুয়ারাও৷ বলেন, ‘‘স্যরের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ৷ স্কুলে বেতন দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের ছিল না৷ স্যর সাহায্য না করলে আমাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াত৷’’
গোটা দেশজুড়ে যখন শিশুকন্য হত্যা-ধর্ষণের বাড়বাড়ন্ত, ঠিক সেই সময় দেশের ‘বেটি’দের পড়াশোনার সুযোগ বাড়িয়ে দিয়ে সব থেকে বড় বিজ্ঞাপনটি দিয়ে গেলেন কর্ণাটকের মুক্তামপুরার বাসবরাজ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.