সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই ২০০২ সাল থেকে মোদিজির পিছনে পড়ে আছে BBC। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দিল্লি এবং মুম্বইয়ের দপ্তরে আয়কর হানার ঠিক আগে সংস্থাটিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বিবিসিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে শাহ বলে দেন, এইসব কুৎসা সত্ত্বেও সত্যিটা প্রকাশ পায়। নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সব কুৎসাকে পিছনে ফেলে বারবার উঠে আসেন।
অমিত শাহ বলছেন, সত্যি কোনওভাবেই চাপা থাকে না। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, সত্য সূর্যের আলোর মতোই প্রকাশ্যে চলে আসে। ওরা ২০০২ সাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। কিন্তু প্রত্যেকবার মোদিজি আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছেন। আরও জনপ্রিয় হয়েছেন।” ঘটনাচক্রে অমিত শাহর এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতে বিবিসির দুটি দপ্তরে আয়কর বিভাগ হানা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই আয়কর হানা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া, দ্য মোদি কোশ্চেন’ (India, The Modi Question) নিয়ে বিতর্ক পুরনো। এই তথ্যচিত্রটিকে কেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল, তা নিয়ে রীতিমতো হইচই বাঁধিয়ে দিয়েছে বিরোধীরা। এসব নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই যোগ হয়েছে বিবিসির দিল্লি-মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর হানা। বিরোধীরা বলছেন, বিবিসির (BBC) কণ্ঠরোধ করতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে সরকার। পালটা আসরে নেমেছে বিজেপিও।
মঙ্গলবার বিবিসি অফিসে আয়কর হানা প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলে দিয়েছেন, বিবিসি সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা। ওদের অপপ্রচার কংগ্রেসের (Congress) অপপ্রচারের সঙ্গে মিলে যায়। বিজেপি নেতার সাফ কথা, ভারতে ব্যবসা করতে হলে, সব সংস্থাকেই ভারতের আয়কর আইন মেনে চলতে হবে। আমার মনে হয়, এক্ষেত্রে আয়কর বিভাগকে তাদের কাজ করতে দেওয়া উচিত। বিবিসির ‘দুর্নীতি’ প্রকাশ্যে আনতে কংগ্রেসকে অতীতও মনে করিয়েছে বিজেপি। গৌরব ভাটিয়া বলে দিচ্ছেন,”মনে করে দেখুন। ইন্দিরা গান্ধীর আমলেও তো বিবিসিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.