Advertisement
Advertisement
নেপাল

‘ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে টেনে নিয়ে যায় নেপালি সেনা’, এখনও আতঙ্কে বিহারের সেই বাসিন্দা

বিহারের ওই বাসিন্দা, তার ছেলে ও জামাইকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন নেপালের সেনা।

'They dragged me from India': Man released by Nepal police shares ordeal
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 13, 2020 2:08 pm
  • Updated:June 13, 2020 4:04 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন নেপালের সেনা জওয়ানরা। শনিবার তাদের হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানালেন বিহারের বাসিন্দা লগন কিশোর। শুক্রবার সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁকে, তাঁর ছেলে ও জামাইকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রতিবেশী দেশের জওয়ানরা। অবশেষে শনিবার তাঁরা মুক্তি পান। এরপরই এহেন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিহারের ওই বাসিন্দা।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় লগন কিশোর জানান, লগনের জামাই নেপালের বাসিন্দা। তিনি ও তাঁর ছেলে জামাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে নেপাল-ভারত সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিলেন।  অভিযোগ, জামাইয়ের সঙ্গে দেখা করার সময় আচমকাই লগনের ছেলেকে মারধর করে নেপালের এক জওয়ান। জওয়ানরা কেন এমন করছেন লগন জিজ্ঞেস করতেই, তাঁকে চুপ থাকতে বলা হয় বলেও খবর। এরপর আরও দশজন জওয়ানকে ডেকে এনে হাওয়ায় গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। লগনের কথায়, “আমরা দৌঁড়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করতেই নেপালের জওয়ানরা আমাদের আটকায়। ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে আমাদের টেনে নিয়ে যায়। সেইসময় রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাতও করা হয়”। লগন আরও জানান, তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে নেপালের সাংরামপুরে নিয়ে যায়। “সেখানে আমাকে নেপাল থেকে নিয়ে ধরে আনা হয়েছে বলে স্বীকার করতে বলেন জওয়ানরা। কিন্তু আমি জানিয়ে দিই, আমাকে মেরে ফেলুন তবুও আমি বলব আমাকে ভারত থেকেই আনা হয়েছে”, বলেন লগন। তাঁর এই বয়ান ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : তিন মাস মেলেনি বেতন, গণইস্তফার হুমকি দিল্লির কস্তুরবা হাসপাতালের চিকিৎসকদের]

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে সীতামাড়ি জেলার লালবান্ডি বর্ডার আউটপোস্টের কাছে অবস্থিত জানকীনগর গ্রামের জমিতে চাষ করছিলেন স্থানীয় কৃষকরা। আচমকা ৮.৪৫ মিনিট নাগাদ কোনও প্ররোচনা ছাড়াই সীমান্তের ওপার থেকে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে নেপালের সীমান্তরক্ষীরা। এর ফলে তিন জন গুলিবিদ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দীনেশ কুমার বলে ২৫ বছরের এক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি দুজন উমেশ রাম ও উদয় ঠাকুর এখনও চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি তিনজনকে নেপালে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও খবর। যদিও শনিবার তাঁরা ছাড়া পেয়েছে।

[আরও পড়ুন : উড়িয়ে দেওয়া হবে যোগী আদিত্যনাথের বাড়ি, হোয়্যাটসঅ্যাপে মিলল হুমকি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement