Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রতিরক্ষা ছাপিয়ে বাণিজ্যেই জোর ভারত-ব্রিটেনের

আজ দিল্লিতে মুখোমুখি নরেন্দ্র মোদি-টেরেসা মে৷

Theresa May will meet PM Modi today on her first bilateral visit in India
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 7, 2016 11:01 am
  • Updated:November 7, 2016 11:32 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত সফরে আসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ছাপিয়ে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে দ্বিপাক্ষিক ব্যাবসা এবং বাণিজ্য৷ খাতায়-কলমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ না করলে ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের কোনও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি হওয়া সম্ভব নয়৷ তবু আগে-ভাগেই সলতে পাকিয়ে রাখতে চান টেরেসা মে৷ সে কারণেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগের পর ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক কেমন হবে, সে নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷ আজ দুপুরে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে মুখোমুখি হচ্ছেন মোদি-মে৷ সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠককে দুই দেশই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে৷

তিনদিনের সফরে রবিবারই ভারতে পৌঁছেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ ব্রিটেনের জনতা ব্রেক্সিটে সায় দেওয়ার পর ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে গেলে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন টেরেসা মে৷ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইউরোপের বাইরে এটাই মে’র প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর৷ তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সেদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিনিধিরা৷

Advertisement

মে’র মুখপাত্র এদিন বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করছেন, ইউরোপের বাইরে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরের জন্য কেন প্রধানমন্ত্রী ভারতকেই বেছে নিলেন, কেনই বা প্রথম বাণিজ্য প্রতিনিধি নিয়ে সেখানে যাচ্ছেন৷ কারণ, ভারত আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বের, চিরকালের থেকেও এখন আরও বেশি৷  ব্রিটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করলে দু’টি লক্ষ্য রয়েছে৷ প্রথমটি বাণিজ্য-বাধা কাটানো৷ যার ঘরোয়া কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে৷ আর দ্বিতীয়টি হল, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাইরে ব্রিটেনের সম্পর্কগুলি আরও মজবুত করা৷

তবে ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য চু্ক্তি নিয়ে আলোচনার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, ব্রিটেন যতক্ষণ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে আছে, ভারতের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে পারবে না৷

চলতি বছরের জুন মাসে ব্রেক্সিট গণভোটে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে রায় দিয়েছে ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ৷ মনে করা হয়েছিল, এর ফলে দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খাবে৷ কিন্তু নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে তৎপর প্রধানমন্ত্রী মে৷ সে কারণেই লক্ষ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্য-সম্পর্ক দৃঢ় করা৷ ক’দিন আগেই দীপাবলি উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মে৷ এবার কথা হবে সরাসরি৷

মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া-ইউকে টেক সামিটে যোগ দেবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ প্রধানমন্ত্রী মোদিও থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে৷ তার আগে সোমবার দুপুরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ বিবৃতি দেবেন৷ তিনদিনের ভারত সফরে দিল্লিতে তিনি রাজঘাট এবং ইন্ডিয়া গেটে যেতে পারেন৷

উল্লেখ্য, আর্থিক অঙ্কে ব্রিটেনে বিনিয়োগকারীদের তালিকায় ভারত তিন নম্বরে৷ ভারতে বিনিয়োগের হিসাবেও তিন নম্বরেই রয়েছে ব্রিটেন৷ ২০১৪-’১৫ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৪০০ কোটি টাকা৷ বাণিজ্যের এই পরিসর যাতে সংকীর্ণ না হয়ে পড়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলে সেটাই নিশ্চিত করতে চান টেরেসা মে৷

এদিকে, ব্রিটেনের ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ নিয়ে পার্লামেণ্টকে বার্তা দিয়ে মে বলেছেন, ইউনিয়ন ত্যাগ করতে ব্রিটেনের ভোটের বৈধতা আছে৷ ব্রেক্সিটকে পূর্ণতা দিতে সরকারকে সুযোগ দেওয়া হোক৷ গত সপ্তাহেই লন্ডনের হাই কোট নির্দেশ দেয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার ক্ষেত্রে সংসদের অনুমোদন নিতে সরকার প্রক্রিয়া শুরু করুক৷ পার্লামেণ্ট সরকারের ব্রেক্সিট-প্রক্রিয়ায় জল ঢেলে দিতে পারে বলে আন্দাজ করছেন মে এবং তাঁর অনুগামীরা৷ কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশের পর পার্লামেণ্টে ভোটাভুটি অবশ্যম্ভাবী৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement