ফাইল চিত্র
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: মুর্শিদাবাদ ছেড়ে অধীর কি এবার ত্রিপুরাবাসী হতে চলেছেন? জোর জল্পনা রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে। অধীরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন নানারকম কাটাকুটির খেলা চলছে, তখনই দিল্লির গেরুয়া শিবিরের তরফে ভাসিয়ে দেওয়া একটি খবর জল্পনা আরও বাড়িয়েছে। সূত্রের খবর, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। এবার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। অধীর যদি পদ্মে নাম লেখান সেক্ষেত্রে বিপ্লব দেবের খালি আসনটি থেকে তাঁকে রাজ্যসভায় নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষনেতৃত্ব।
আগেই শোনা গিয়েছিল, বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদকে নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। তাঁকে দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে। আগেও ২০১৮ সালে একবার একই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। ২০১৯ সালে নির্বাচিত হয়ে লোকসভার কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা হন। কিন্তু এবার বিজেপির থেকে প্রস্তাব এলে অধীর কি তা ফিরিয়ে দিতে পারবেন? শুরু হয়েছে জল্পনা। কারণ তিনি এখন সাংসদ নন। প্রদেশ সভাপতির পদ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। তাই বাংলায় সাংগাঠনিক শক্তি বাড়াতে অধীরকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি তা গ্রহণ করতেও পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বর্ষীয়ান নেতা। সেই সময় তিনি কংগ্রেস নেত্রীকে বলেন, লোকসভা ভোট চলাকালীন জয়রাম রমেশ ও কেসি বেনুগোপাল লাগাতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুণগান গেয়েছেন। যা সোনিয়াও নাকি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি আরও বিস্মিত হন কে সি বেনুগোপালের ভূমিকা নিয়েও। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে অবশ্য মনে করেন, বেনুগোপালের ভূমিকা নিয়ে সনিয়ার বিস্ময়ের কারণ নেই। অধীর চৌধুরীকে কংগ্রেস লোকসভার নেতা করার পর থেকেই মণীশ তিওয়ারি, আনন্দ শর্মা ও কে সি বেনুগোপাল যে লাগাতার বিরোধিতা করে গেছেন, তা দিল্লিতে সুবিদিত। জাতীয় কংগ্রেসের এখন যা গতিবিধি ও মনোভাব তাতে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গেই সমঝোতা করে চলতে চান জয়রাম রমেশরা।
প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, এআইসিসির মনোভাব বরাবর এরকমই। সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট পোক্ত করাটাই এখন অগ্রাধিকার। তার সঙ্গে জুড়েছেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, শুভঙ্কর সরকাররাও। যাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে জোটে আগ্রহী। ফলে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস যে তৃণমূলের সঙ্গে পুরোদস্তুর সমঝোতা করে চলতে চাইছে তা স্পষ্ট। এই পরিস্থিতিতে প্রবল তৃণমূল-বিরোধী অধীরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও অন্ধকারে চলে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.