ফাইল ছবি
স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা রয়েছে ৫ হাজার ৪১০টি অধ্যাপকের পদ। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগে এই তথ্য জানাল খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। যার পর থেকেই উঠছে প্রশ্ন। দেশের ভবিষ্যৎ তৈরি করবে যারা, তাঁদের তৈরি করার লোকই যদি পর্যাপ্ত না থাকে, তাহলে কী হবে দেশের ভবিষ্যৎ? কীভাবে বিশ্বগুরু হবে ভারত?
বুধবার রাজ্যসভায় কেরল থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ জে বি এম হিশাম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোনটিতে কত সংখ্যক অধ্যাপকের পদ খালি রয়েছে এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন কেন্দ্রের কাছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক তথ্য দেওয়া না হলেও জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনুমোদিত মোট ১৩ হাজার ২৩৫টি অধ্যাপকের মধ্যে ফাঁকা পদের সংখ্যা ৫ হাজার ৪১০। শতাংশের বিচারে যা প্রায় ৪১%। এর মধ্যে আবার তফসিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বরাদ্দ পদে যথাক্রমে ৭৮৮, ৪৭২ ও ১৫২১টিতে নেই কোনও শিক্ষক। এই তথ্য আসার পর থেকেই কেন্দ্রকে আক্রমণ, কটাক্ষ করা শুরু করেছে বিরোধীরা।
মঙ্গল ও বুধবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রককে সংসদে বিব্রত করা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “পাঁচ হাজারের বেশি পদ খালি মানে পঠনপাঠনের হাল কী বোঝা যাচ্ছে। মনে রাখতে হবে, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়।” তাঁর বক্তব্য, “এই সরকার শিক্ষাখাতে জিডিপির মাত্র ০.৩৭ শতাংশ বরাদ্দ করেছে। অন্তত ৬% বরাদ্দ করা না হলে ভালো কিছু করাই সম্ভব নয়।” তফসিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির খালি পদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর ফলে সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষদের প্রতিও বঞ্চনা করছে কেন্দ্র সরকার।” শুধু কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়। শিক্ষকদের খালি পদের বিচারে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়েও দেশজুড়ে খালি আছে ৭ হাজার ৪১৪টি পদ। শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১ হাজার ৫৬৩।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.