সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আর হত্যা- কোন জায়গায় নিয়ে যেতে পারে মানুষকে?
মুসৌরির লম্বি দেহর খনিতে প্রভাবটা কিন্তু পড়েছে এক সঙ্গে প্রায় হাজার পঞ্চাশ মানুষের উপরে!
শুনতে আশ্চর্য লাগলেও স্থানীয়রা কিন্তু দাবি করে থাকেন সেটাই! বলেন, এক নারীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্যই এক রাতের মধ্যে প্রাণ যায় খনির হাজার পঞ্চাশেক শ্রমিকের।
শোনা যায়, ব্রিটিশ আমলে যে সাহেব ছিলেন এই খনির সর্বেসর্বা, তাঁর স্ত্রী লিপ্ত ছিলেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে। প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে একদিন স্বামীর সঙ্গে সেই মহিলা ঘুরতে আসেন এই খনির কাছাকাছি। আর, নির্দিষ্ট জায়গা থেকে একটা বড় পাথর সেই প্রেমিক গড়িয়ে দেয় তাদের দিকে। স্ত্রী সরে গেলেও সাহেব নিজের প্রাণ বাঁচাতে পারেননি। স্থানীয়রা বলেন, তাঁর প্রেতাত্মা আজও বাস করছে খনিতে। তিনি না কি কোনও পুরুষকেই বিশ্বাস করতে পারেন না। সেই রাগ থেকেই সাহেবের প্রেতাত্মা হাজার পঞ্চাশেক শ্রমিকের জীবন নেয়!
অনেকে আবার বলে থাকেন এক স্থানীয় মহিলার কথা। এই গল্পটাও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কেরই! সেই মহিলার সঙ্গে প্রেমিকের শারীরিক মিলন দেখে ফেলেন স্বামীটি! ভয়ে সেই মহিলা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় খনির অন্ধকারে। এক দিন তার কানে আসে গ্রামের দুই শিশুর হত্যার কথা। বাবা না কি ওই দুই শিশুকে মেরে ফেলেছে!
মহিলাটি পুরোটা শোনে! এবং, বুঝতে পারে, ওরা তারই ছেলে-মেয়ে! অনুশোচনায় তখন সেও আত্মহত্যা করে। কিন্তু, খনির শ্রমিকদের উপরে তার রাগ পড়েনি! তাদের মুখ থেকেই সে ঘটনাটা জানতে পেরেছিল বলে! সেই রোষেই না কি মুখে রক্ত তুলে এক রাতের মধ্যে মৃত্যু হয় সব শ্রমিকদের!
ঘটনা যা-ই হোক, খনিটি কিন্তু ১৯৯৬ সাল থেকে বন্ধই পড়ে রয়েছে। এখনও খনিতে শোনা যায় দীর্ঘশ্বাস, চাপা কান্না। কখনও কখনও শোনা যায় ক্রুদ্ধ চিৎকার! বোঝা যায়, কেউ অনুসরণ করছে!
ইচ্ছে হলে, মুসৌরি গেলে আপনি ঘুরে আসতেই পারেন লম্বি দেহর!
শুধু খনির ভিতরে ঢোকার আগে একবার ভেবে নেবেন!
আসলে, ঈশ্বরের দেওয়া এই জীবন বড় মূল্যবান! হঠকারিতায় সেটা নষ্ট করার তো মানে হয় না!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.