সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনদিন পর দালাল স্ট্রিট খুলতেই শেয়ার বাজারে বড়সড় ধস নামল। মঙ্গলবার বাজার খুলতেই সেনসেক্স পড়ে যায় ৬২২ পয়েন্ট। অন্যদিকে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফটি প্রায় ৫০ পয়েন্ট নেমে যায়। গোটা দিন আর এই ধাক্কা সামলাতে পারেনি শেয়ার বাজার। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেনসেক্স ৭২৭পয়েন্ট নেমে দাঁড়িয়ে আছে ৩৬ হাজার ৬০৫ পয়েন্টে। অন্যদিকে নিফটি ২০৬ পয়েন্ট নেমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮১৭ পয়েন্টে।
শনি ও রবিবার এমনিতেই বন্ধ থাকে শেয়ার বাজার। সোমবার গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বন্ধ ছিল বাজার। মঙ্গলবার সকালে বাজার খুলতেই ব্যাংকের শেয়ারে ধস নামতে থাকে। বেশিরভাগ রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের শেয়ারই এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যায়। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ারের দাম প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫৯ টাকা ৮০ পয়সা। কানাড়া ব্যাংকের শেয়ারের দাম কমে হয়েছে ২০৩ টাকা ৯০ পয়সা। কর্পোরেশন ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য কমেছে প্রায় ৯.৩ শতাংশ। রেকর্ড পতন হয়েছে ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার শেয়ারেও। এদিন ইউবিআইয়ের শেয়ারের দাম ছিল ৫৪ টাকা ৯০ পয়সা। যা গত ৫২ সপ্তাহের মদ্যে সর্বনিম্ন। একমাত্র অন্ধ্র এবং সিন্ডিকেট ব্যাংক ছাড়া সমস্ত ব্যাংকের শেয়ারই এদিন ছিল নিম্নমুখী। এর সার্বিক প্রভাব বাজারে পড়েছে।
শুক্রবার দশটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে মিলিয়ে দিয়ে চারটি ব্যাংকে পরিণত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। তারপর প্রথমবার শেয়ারবাজার খুলল আজ। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর প্রভাব দেখা গেল বাজারে। তাছাড়া সদ্যপ্রকাশিত জিডিপির পরিসংখ্যানে যে আর্থিক মন্দার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাঁর প্রভাবও স্পষ্ট দেখা গেল বাজারে। আসলে, চিন ও আমেরিকার মধ্যে ট্রেড-ওয়্যারের জন্য গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই মন্দার আশঙ্কায় ভুগছে। তাঁর প্রভাব পড়ছে ভারতের বাজারেও। দ্রুত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি শোধরাতে না পারলে শেয়ারের ধস অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.