সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) নতুন স্ট্রেন ‘ডবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টে’র সন্ধান মিলল দেশের ১৮টি রাজ্যে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) তরফে জানানো হয়েছে একথা। শুধু এই নতুন স্ট্রেনই নয়, এর আগে আরও বিদেশি ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যা দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদিও ‘ডবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্ট’ এবং নতুন স্ট্রেনের কারণেই যে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তেমনটা বলার মতো পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ যে ১০ হাজার ৭৮৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাতে ৭৩৬টি ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের করোনাভাইরাস মিলেছে ৩৪ জনের শরীরে। আর ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে ১ জনের দেহে।বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর যাঁরা করোনা পজিটিভ হচ্ছেন, তাঁদের নমুনা আলাদা করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। দেশের ১০টি সরকারি পরীক্ষাগারে এই নমুনার পরীক্ষা হয় জিনোম সিকোয়েন্স পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে জিনের গঠন থেকে তার উৎস খোঁজার চেষ্টা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২৬২। যা গত নভেম্বর থেকে এক দিনে আক্রান্তের নিরিখে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও চিন্তায় উৎসবের কথা ভেবে। সামনেই দোল, হোলি, শবে বরাত, ইস্টার এবং ইদ-উল-ফিতরের মতো উৎসব। করোনা বিধি না মেনে উৎসবে মেতে গেলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। যা দ্বিতীয় ঢেউকে আরও তীব্র এবং ত্বরান্বিত করতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রায় এক মাস আগেই দেখা দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের টনক প্রায় এক মাস পর নড়ল বলে অভিযোগ। তার পর গতকাল মঙ্গলবার সব রাজ্যকে একটি নোট পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা। তাতে তিনি ‘লকডাউন’ (Lockdown) শব্দের উল্লেখ না করলেও রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনে স্থানীয় স্তরে যেমন ওয়ার্ড, ব্লক, জেলা বা শহর পর্যায়ে সব রকম গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবং তা করতে বলা হয়েছে ১ এপ্রিল থেকেই। এমনকি যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কন্টেনমেন্ট (Containment zone) এলাকা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। ফলে আগামী ১ এপ্রিল থেকে করোনা মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করা হবে, তা এখন অনেকটা রাজ্যের হাতেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.