সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির বাসিন্দা আকাশ৷ বাবা, মা এবং ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দিল্লির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন৷ আসলে থাকতেন বললে ভুল হয়৷ আকাশ এবং তাঁর পরিবার এখনও দিল্লির ওই ফ্ল্যাটেই থাকেন৷ একদিনের এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য যথাযথ নয়, এমনটাই মনে করেন আকাশের বাবা৷ তিনি খুব শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করেন এবং সবকিছুকেই যুক্তি দিয়ে বিচার করেন৷ শুধু তাই নয় তিনি এখনও চান আকাশ যেন গোটা ব্যাপারটা ভুলে যান৷
কিন্তু সব অতীত কি ভুলে যাওয়া সহজ?
ঠিক যেমন আকাশ ভুলতে পারছেন না সেদিন ভোরবেলার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা৷ শৃঙ্খলাপরায়ণ ভদ্রলোক সবসময় চান তাঁর ছেলে মেয়েরাও যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করেন৷ আর তাই বাবার নির্দেশে আকাশ এবং তাঁর গোটা পরিবার রোজ ভোর চারটের সময় ঘুম থেকে উঠে পড়তেন৷
বলে রাখার বিষয়, ফ্ল্যাটের এক কোণে আকাশের শোয়ার ঘর৷ গোটা ফ্ল্যাট এবং আকাশের ঘরটি একটি করিডরের মাধ্যমে যুক্ত ছিল৷ আর আকাশের খাটটা দেওয়ালের ঠিক পাশেই ছিল৷ খাট থেকেই দেখা যেত করিডর৷
একদিন ভোরে আকাশের ঘড়িতে অ্যালার্ম বাজে৷ ঘুমচোখে আকাশ চটপট সেটি বন্ধ করে সদ্য চোখ বুজেছেন৷ সেদিন তাঁর কিছুতেই এত ভোরে উঠতে ইচ্ছা করছিল না৷ দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে শুয়ে ছিলেন তিনি৷ হঠাৎই দরজার কাছে কারও হেঁটে আসার শব্দ শুনতে পান তিনি৷ ভেবেছিলেন বাবা এসেছেন ঘরে৷ অন্যদিনের মতোই জোর করে তাঁকে ঘুম থেকে তুলতে৷
কিন্তু তেমন কিছু হল না৷ খানিক সময় পরে যা হল তা ভাবলে আজও আকাশ চমকে ওঠেন৷ হঠাৎই তিনি দেখেন, কেউ তাঁর পা ভীষণ শক্ত করে ধরে উপর দিকে টেনে তুলছে৷ যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা আকাশ মুখ ঘুরিয়ে দেখতে পর্যন্ত পাচ্ছিলেন না, কে তাঁর পা টেনে ধরেছে৷ তাঁর বাবা হঠাৎ এমন কাজ করবেন কেন তাও ভেবে উঠতে পারছিলেন না তিনি৷ তাঁর শুধু মনে হচ্ছিল কেন এমন হচ্ছে৷ সব শক্তি দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করছিলেন৷ ঠিক এই সময় তাঁর চিৎকার শুনে আকাশের ঘরে ছুটে আসেন তাঁর মা-বাবা৷ এসে দেখেন আকাশ শূন্যে হাত পা ছুড়ছেন৷
আকাশ এবং তাঁর পরিবার গোটা ঘটনায় অবাক৷ আকাশের বাবা ঘটনার কথা প্রথমটায় বিশ্বাস করতে চাননি যথারীতি৷ কিন্তু আকাশের পায়ে পুরু আঙুলের দাগ স্পষ্ট করে দিয়েছিল সেদিন সত্যিই কেউ আকাশের পা ভীষণ শক্ত করে টেনে ধরেছিল৷ যাকে দেখা যাচ্ছিল না৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.