সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৌসেনার কর্মীরা ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকী কর্মী-আধিকারিকরা নৌঘাঁটি, ডকইয়ার্ডস ও যুদ্ধজাহাজে থাকাকালীন স্মার্টফোনও ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে খবর, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগে নৌবাহিনীর ৭ আধিকারিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় হানিট্র্যাপে ফাঁসানো হয়েছিল বলে খবর। এরপরই এই কঠোর পদক্ষেপ করল নৌসেনা।
২৭ ডিসেম্বর জারি হওয়া নির্দেশিকায় ভারতীয় নৌসেনা জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই যে কোনও মেসেজিং অ্যাপ, নেটওয়ার্কিং, ব্লগিং, ই-কমার্স সাইট ব্যবহারের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। সেই নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ফেসবুকে নিষেধাজ্ঞার অর্থ ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত যেকোনও অ্যাপ, যেমন-হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ফলে আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকে দূরেই থাকতে হবে নৌবাহিনীর কর্মীদের।
দিন কয়েক আগেই তিন ইনটালিজেন্স সংস্থার যৌথ তদন্তে এক তথ্য পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস হয়। সাত জন নৌবাহিনীর কর্মী-আধিকারিককে গ্রেপ্তার করে তাঁরা। এমনকী বিদেশে টাকা লেনদেনের অভিযোগে এক হাওলা অপারেটরকেও গ্রেপ্তার করে। জানা যায়, তারা নৌসেনার গোপনীয় তথ্য, যুদ্ধ জাহাজ-সাবমেরিনের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাকিস্তানি গুপ্তচরদের কাছে পাচার করছিল। ২০১৮ সালে তাঁদের হানিট্র্যাপের মাধ্যমে ফাঁসানো হয়।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থাগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সহজেই নৌকর্মীদের হানিট্র্যাপে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। মহিলাদের পরিচয় দিয়ে একের পর এক ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি করছে তাঁরা। এরপর নৌবাহিনীক কর্মীদের টার্গেট করে আলাপ জমাচ্ছে। অনলাইনেই ক্রমে সেই আলাপ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে পরিণত হচ্ছে। এরপরই সেই কথপোকথন, ঘনিষ্ঠ ছবি হাতিয়ার করে শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। তাঁদের ব্ল্যাকমেল করে গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নেয় পাকিস্তানের সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে বাহিনীর বেশকিঠু তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। এই ফাঁদ এড়াতেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর কড়া নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.