Advertisement
Advertisement

মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ হাসিনার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন এই ভারতীয় মেজর

ভারত ও বাংলাদেশ- দুই দেশেই সমান জনপ্রিয় এই ভারতীয় মেজর৷ পোস্টটি LIKE/SHARE করে এই জওয়ানের বীরগাথা ছড়িয়ে দিন দুনিয়ায়৷ 

the Indian Major who saved the future PM of Bangladesh shares spotlight with Hasina
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 10, 2017 4:56 am
  • Updated:April 10, 2017 4:57 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৭১-এর যুদ্ধে পাক জেনারেল টাইগার নিয়াজি যখন ৯৩ হাজার পাক সেনা-সহ ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন, তখন মেজর অশোক তারার বয়স মাত্র ২৯৷ কিন্তু ইতিমধ্যেই দেশের হয়ে বেশ কয়েকটি অতি গোপনীয় কমব্যাট অপারেশনের নেতৃত্ব দিয়ে ফেলেছেন৷ ভারত সরকার তাঁকে গঙ্গাসাগর যুদ্ধের জন্য বীর চক্র পুরস্কারে ভূষিতও করেছে৷

[শহিদ জওয়ানের পরিবারকে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেবে ‘ভারত কে বীর’]

ওই পুরস্কার পাওয়ার কয়েকদিন পরই ২৯ বছরের মেজর তারার উপর আরেকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের স্ত্রী ও ২৪ বছরের কন্যা শেখ হাসিনাকে উদ্ধার করার৷ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২০ মিনিট দূরত্বে ধানমন্ডি এলাকায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে পণবন্দী করে রেখেছিল সশস্ত্র পাক সেনাবাহিনী৷ তারা মাত্র তিনজন সঙ্গীকে নিয়ে প্রবল বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে এক ফোঁটা রক্তপাত না ঘটিয়ে সেদিন ভবিষ্যতের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রাণ বাঁচান মেজর তারা৷

Advertisement

সেই ঘটনার প্রায় ৪৬ বছর পর গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সেই বীর ভারতীয় যোদ্ধাকে সম্মান জ্ঞাপন করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন হাসিনা৷ মেজর তারা ও তাঁর স্ত্রী আভাকে দেখে খুবই খুশি হন হাসিনা৷ একাত্তরের যুদ্ধে একটানা ১৩ দিনে ভারতের প্রায় ৪ হাজার সৈন্য শহিদ হন৷ তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশে অনুষ্ঠিত হয় ‘সম্মাননা’৷ শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণের পর মেজর তারা বলেন, “হাসিনাজি আমাদের দেখে খুবই খুশি হন৷ প্রধানমন্ত্রী মোদিজিকে তিনি ডেকে বলেন, এই তারাই প্রায় খালি হাতে আমাকে উদ্ধার করেছিলেন৷”

[‘সিরিয়ায় আর একটাও বোমা ফেললে উড়িয়ে দেওয়া হবে আমেরিকাকে’]

এর আগে ২০১২-র জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা মেজর তারাকে ‘ফ্রেন্ড অফ বাংলাদেশ’ পুরস্কারে ভূষিত করেছিলেন৷ ১৯৯৪-তে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে কর্নেল হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন মেজর তারা৷ এক ইন্টারভিউতে তিনি বলেছেন, “সেদিন যে একেবারে ভয় করছিল না তা নয়৷ পাক সেনাদের হাতে অটোমেটিক মেশিনগান ছিল৷ কিন্তু আমি কোনওভাবে তাদের বোঝাতে সক্ষম হই যে যুদ্ধ শেষ হয়ে গিয়েছে৷ পাক সেনা আত্মসমর্পণ করেছে৷ আমার হাতে সেদিন কোনও অস্ত্র না থাকলেও আমার মাথার উপরে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার চক্কর কাটছিল৷ বিশ্বাস ছিল, আমার কোনও ক্ষতি হলে ওই হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে পাক সেনাকে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হবে৷”

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement