Advertisement
Advertisement

Breaking News

অর্থনীতি

২০২০ সালের মধ্যে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে ভারতের, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

নতুন ভারত গড়ার কাজ পূর্ণ হবেই, দাবি নির্মলা সীতারমণের।

Indian will grow to become a $3 trillion economy in the current year.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 5, 2019 2:39 pm
  • Updated:July 5, 2019 2:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আগামী বছরের মধ্যে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে ভারত।’ শুক্রবার ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করতে গিয়ে এই দাবিই করলেন দেশের প্রথম পূর্ণ সময়ের মহিলা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। 

[আরও পড়ুন- বেসরকারিকরণের দিকে ভারতীয় রেল, বাজেটে ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর]

সংসদে বাজেট পেশ করতে গিয়ে আজ চাণক্য নীতি সূত্র উদ্ধৃত করেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, “লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে কাজ করে গেলে সাফল্য আসবেই। নতুন ভারত গড়ার যে কাজ শুরু হয়েছে, তা পূর্ণ হবে৷ ‘মজবুত নাগরিক, মজবুত দেশ’ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে৷ পেমেন্টের সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ৷ খাদ্য নিরাপত্তায় দ্বিগুণ বরাদ্দ হয়েছে৷ গত পাঁচ বছরে বিপুল আর্থিক সাফল্য পেয়েছে দেশ৷ সরকারি কাজ আরও সরল হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পৌঁছেছি৷ প্রথম এক ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছতে ৫৫ বছর সময় লেগেছে। কিন্তু, আমরা মাত্র পাঁচ বছরে আরও এক ট্রিলিয়ন বাড়িয়েছি। চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই তিন ট্রিলিয়নের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাব। পাঁচ বছর আগে আমাদের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে ১১তম স্থানে ছিল। কিন্তু, এখন ষষ্ঠস্থানে পৌঁছেছি।”

Advertisement

লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে মোদি সরকার যে কতটা উদগ্রীব হবে তাও স্পষ্ট হয়েছে আজকের বাজেট অধিবেশনে। এর জন্য ভারতীয় কোম্পানিগুলির শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে চায় তারা। এক্ষেত্রে অতীতের নীতিহীনতা ও লাইন্সেসরাজের নিয়ন্ত্রণ যে ফিরে আসবে না তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা নিজেদের লাভের জন্য কিছু করতে চাই না। ভারতীয় কোম্পানিগুলি ভারতে কর্মসংস্থানের জনক, দেশের ধনসম্পদের সৃষ্টিকর্তা। তাই পারস্পরিক ভরসা গড়ে উঠলেই আমরা লাভবান হব।”

[আরও পড়ুন- ইমরান-ট্রাম্প বৈঠকের আগে দাউদ-হাফিজ নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের]

আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা ছিল। কিন্তু, গত পাঁচ বছরে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে বলে শুক্রবার দাবি করেন নির্মলা সীতারমণ। আগামীতে তা আরও বাড়ানোর জন্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছেন বলেও জানান। বলেন, “বিদেশি শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রতিবছর একটি বাণিজ্য সম্মেলন করা হবে। ভারতে বিদেশি বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্য করে তুলতে বদ্ধপরিকর সরকার। এর জন্য কেওয়াইসি পদ্ধতিকে আরও সহজ করা হবে। বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়া হবে। অসামরিক বিমান পরিবহণে ভারতে বিপুল বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে। কৃষিপণ্যভিত্তিক ব্যবসা গড়ে তোলার দিকে বিশেষ নজর দেব আমরা। এর জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করা হবে। এর সুবিধা পাবেন কৃষকরাও। ডাল উৎপাদনে তাঁরা বিপ্লব নিয়ে এসেছেন, তৈলবীজের ক্ষেত্রেও তাঁরা এই সাফল্য পাবেন বলে আমরা আশাবাদী। এছাড়া দুগ্ধ উৎপাদন ও তাঁর প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ দেওয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো হবে। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, জল মার্গ বিকাশ, ফ্রেট করিডর তৈরি হয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য এই পরিকাঠামো প্রচুর সাহায্য করছে। আরও ১,২৫,০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য এক কোটি টাকা পর্যন্ত সরকারি ঋণের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। এই ঋণের জন্য মাত্র ২ শতাংশ সুদ দিতে হবে সংস্থাকে। এর ফলে ৩ কোটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। যে কোনও মূল্যে দেশকে মজবুত অর্থনৈতিক ভিতের উপর দাঁড় করানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement