সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেন্নাই উপকূলে দু’টি জাহাজের সংঘর্ষে সমুদ্রে তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে। শুক্রবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি।এছাড়া এদিন সকালেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজদু’টিও খালি করা হয়েছে। তবে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া পাবেন না জাহাজ দু’টির কর্মীরা। গড়করি আরও জানান, তদন্তে যে বা যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের যথোপযুক্ত শাস্তিও দেওয়া হবে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় পরিবহন ও সড়ক প্রতিমন্ত্রী পোন রাধাকৃষ্ণনের দাবি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজে ৩২ হাজার টনেরও বেশি খনিজ তেল ছিল। যার পুরোটাই খালি করা হয়ে গিয়েছে। আসলে তেলের ট্যাঙ্কার থেকে নয়, সমুদ্রে তেল ছড়িয়েছে জাহাজের ইঞ্জিন থেকে, জাহাজের মূল অংশে কোনও ছিদ্র হয়নি।এক সরকারি আধিকারিকের মতে, ইতিমধ্যে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তারপরই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে তদন্তকারী কমিটি। এছাড়া এই ঘটনায় সামুদ্রিক প্রাণী এবং গাছপালা ও পরিবেশের ভারসাম্য কতটা নষ্ট হয়েছে, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ২৮ জানুয়ারি চেন্নাইয়ের এন্নোর বন্দরের কাছে এমটি বিডব্লিউ ম্যাপেলের সঙ্গে খনিজ তেল ভর্তি জাহাজ এমটি ডন কাঞ্চিপুরমের সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়তে থাকে খনিজ তেল।এরপর থেকেই সমুদ্র উপকূলে ভেসে বেড়াচ্ছিল তেল।আর ঠিক তারপর থেকেই মাছ এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী ও গাছপালার মৃত্যু হতে থাকে। এন্নোর বন্দরের তেল লিকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক পরিবেশ দূষণ হয় গত কয়েকদিনে। কোস্ট গার্ড কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ, সেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং জেলেরাও সমুদ্র থেকে তেল পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েন। এখনও অবধি ১১৬ টন বর্জ্য সমুদ্রের জল থেকে সরানো হয়েছে। তবে এখনও বেশ কিছুটা কাজ বাকি বলে খবর। এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রের জল থেকে খনিজ তেল পরিষ্কারের জন্য যে অত্যাধুনিক যন্ত্র ভারতের হাতে থাকা প্রয়োজন, সেটি নেই। কেন্দ্রের উচিত বিদেশ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটি কিনে ফেলা। অন্যথায় আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে বিড়াম্বনা আরও বাড়বে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.