প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে বেহুঁশ করার পর তরুণকে কোপানোর অভিযোগ উঠল তরুণীর বিরুদ্ধে। তরুণী একা নন, এই কাজে আরও দুজন তাঁকে সাহায্য করেছেন বলে দাবি তরুণের বাবার। গুরুতর আহত তরুণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায়। ২১ বছর বয়সি যুবকের নাম ধীরাজ। তিনি বি কমের ছাত্র। জানা গিয়েছে, প্রায় ৬ মাস আগে সোশাল মিডিয়ায় প্রিয়া নামের তরুণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী বিয়ে করতে চাইলে তরুণ রাজি না হওয়ায় তাঁকে ডেকে নিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়।
ধীরাজের বাবা হংসরাজের অভিযোগ, তাঁর ছেলের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর প্রিয়া নয়ডায় থাকা শুরু করেন। গত ২৪ ডিসেম্বর তরুণী, ধীরাজকে দেখা করার জন্য ডাকেন। একটি গাড়িতে ছিলেন তাঁরা। হংসরাজের অভিযোগ, গাড়িতেই প্রিয়া, ধীরাজকে মাদক মেশানো পানীয় পান করান। তরুণ বেহুঁশ হয়ে পড়লে দুই বন্ধুকে ডেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। ধীরাজকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে সেখান থেকে পালান অভিযুক্তরা।
স্থানীয়রা ধীরাজকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। তরুণকে গ্রেটার নয়ডার স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। আহতের বাবা রাবুপুরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। স্টেশন ইনচার্জ রঘুবেন্দ্রকুমার সিং বলেন, “মঙ্গলবার রাতে রনিজা গ্রামের বাসিন্দা হংসরাজ তাঁর ছেলে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে।” অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিয়া ও অজ্ঞাতপরিচয় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.