সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল জেলের ৯২৩৪ নম্বর সেল। প্রথম রাতটা মেঝেতে শুয়েই কাটাতে হল শশীকলা নটরাজনকে। আর পাঁচটা কয়েদির মতোই তার খাবার তালিকায় ছিল ডাল, রাগি মুদ্দা (কর্নাটকের বিশেষ খাবার), সামান্য ভাত ও দু’টি চাপাটি। হতে পারে তিনি এক সময় জয়ললিতার ছায়াসঙ্গিনী ছিলেন। হতেই পারেন তিনি শশীকলা নটরাজন। কিন্তু আগামী চার বছরের জন্য এভাবেই কয়েদি হয়ে থাকতে হবে চিন্নাম্মাকে।
জিও-র ফ্রি পরিষেবার সুনামিতে ভাটার টান
একটা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেল, বাড়ির তৈরির খাবার, আর একটু একা থাকার অনুমতি। বিচারকের কাছে আবেদন ছিল পয়েজ গার্ডেনের এই ‘মুকুটহীন সম্রাজ্ঞী’র। কিন্তু প্রথমেই তা নাকচ করে দেয় আদালত। সাফ জানিয়ে দেয়, কোনও বিশেষ সুবিধার প্রশ্নই নেই। পরার জন্য বরাদ্দ হয়েছে তিনটি শাড়ি ও ব্লাউজ। আর পাঁচটা কয়েদির মতোই এআইএডিএমকে-র এই শীর্ষনেত্রীকেও কায়িক শ্রম দিয়ে টাকা রোজগার করতে হবে। ৫০ টাকা রোজে আপাতত জেলে বসে মোমবাতি বানাবেন শশী। সপ্তাহের সাতদিনই কাজ করতে হবে তাঁকে। রবিবারও ছুটির কোনও প্রশ্ন নেই। সপ্তাহে একদিন ফোনে কথা বলার সুযোগ পাবেন। তবে তা ৫ মিনিটের জন্য। চাইলে যোগা, মেডিকেশন ক্লাসে যোগ দিতে পারেন তিনি।
বেঙ্গালুরুর কাছে পারাপ্পানা আগরাহারা জেলটি কর্নাটকের সব চেয়ে বড় সংশোধনাগার। প্রায় ৪০ একরের এই জেলে বর্তমানে প্রায় ৪৪০০ জন বন্দি রয়েছেন। বুধবার জেলে ঢোকার আগে স্বামী এম নটরাজনের সঙ্গে দেখা করতে চান শশীকলা। অনুমতিও মেলে। স্বামীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন শশী। বিরোধীদের কথায়, শশীর কলাকারী খাটানো যে এবার মোটে সহজ হবে না, তা তিনি হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছেন।
এবার পতঞ্জলির পণ্য ব্যবহার করবে বিএসএফ
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.