Advertisement
Advertisement
দম্পতি

৮০ বছর ধরে অটুট ভালবাসা, নিহত স্বামীর বুকে মাথা রেখে আধঘণ্টা পরই মৃত্যু বৃদ্ধার

একইসঙ্গে পরিবারের দু'জনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিজনেরা।

The centenarian couple passed away on same day in Tamil Nadu
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 13, 2019 9:40 pm
  • Updated:November 13, 2019 9:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে নাকি ঈশ্বরই ঠিক করেন। আর কথায় বলে, বিয়ে নাকি সাত জন্মের বাঁধন। সে কথাই যেন জীবন দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন ৮০ বছর ধরে একসঙ্গে থাকা তামিলনাড়ুর এক দম্পতি। আচমকা স্বামীর মৃত্যু মানতে পারেননি স্ত্রী। প্রিয়জনের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে কাঁদতেই সংজ্ঞা হারালেন বৃদ্ধা। স্বামীর মৃত্যুর আধঘণ্টার মধ্যেই প্রাণ হারালেন শতবর্ষ ছোঁয়া স্ত্রী-ও।

ভেট্রিভেল এবং পিচাই তামিলনাড়ুর পুডোকোট্টাইয়ের বাসিন্দা। পেশায় কৃষক ভেট্রিভেল জীবনের ১০৪টি বসন্ত কাটিয়ে ফেলেছেন। পিচাই তাঁর থেকে মাত্র বছর চারেকের ছোট। প্রায় আশি বছর আগে ঘর বাঁধেন দু’জনে। তারপর থেকে আর কেউ কখনই আলাদা থাকেননি। জীবনের ভাল সময় যেমন একসঙ্গে কেটেছে তেমনই আবার দুঃসময়ে দু’জন দু’জনকে আগলে রেখেছেন। ঝগড়াঝাটি হয়েছে কিন্তু একা রেখে কেউ দূরে সরে যাননি। বয়স বেড়েছে যত প্রেম যেন ততই গাঢ় হয়েছে।

Advertisement

বর্তমানে বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে যান দু’জনেই। দিনকয়েক শরীরও ভাল যাচ্ছিল না তাঁদের। আজ এ রোগ তো কাল সেটা যেন লেগেই ছিল। এহেন ভেট্রিভেলের সোমবার রাতে বুকে যন্ত্রণা শুরু হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নির্ধারিত নিয়মানুযায়ী ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার পরই বাড়ি নিয়ে চলে আসা হয় ভেট্রিভেলের নিথর দেহ। যাঁর সঙ্গে আশি বছরের সংসার তাঁর মরদেহ দেখে ডুকরে কেঁদে ওঠেন পিচাই। তাঁকে আগলে রাখতে পারছিলেন না কেউই। হাপুস নয়নে স্বামীর বুকে মাথা রেখে কাঁদতে থাকেন তিনি। আচমকা ভেট্রিভেলের মৃত্যুতে চোখের জল বাঁধ মানছিল না তাঁর সন্তান, নাতি-নাতনিদেরও।

[আরও পড়ুন: হোমে নেই সিসিটিভি-নিরাপত্তারক্ষী, কলকাতায় যুবতী গণধর্ষণে ক্ষোভে ফাটল পরিবার]

আবেগঘন মুহূর্তের মাঝে আচমকাই জ্ঞান হারান পিচাই। খানিকক্ষণ তাঁর পরিজনেরা জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। তবে বিশেষ লাভ না হওয়ায় চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসক দৌড়ে আসেন। তবে আশার বাণী শোনাতে পারেননি তিনি। কারণ, ততক্ষণে মৃত্যু হয় পিচাইয়েরও। দাদুর মৃত্যুর মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে ঠাকুমাকে হারিয়ে যেন কথা বলার ক্ষমতাও চলে যায় তাঁর তেইশজন নাতি-নাতনি। বাবা-মাকে হারিয়ে মাথার ঠিক রাখতে পারছেন না তাঁর ছেলে-মেয়েরাও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement