সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্ত ডিঙিয়ে ভারতে প্রবেশ। পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা দুর্গম আট কিলোমিটার পথ পেরিয়ে পহেলগাঁও উপত্যকায় পর্যটকদের হত্যা। ফের পাইনের জঙ্গলে উধাও। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন? কীভাবে ভারতীয় সেনার নজর এড়িয়ে এমন নিখুঁত হামলা চালাল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা? আগেই ‘অ্যালপাইন কোয়েস্ট’ নামের একটি অফলাইন ট্র্যাকিং অ্যাপের নাম উঠে এসেছে। মনে করা হচ্ছিল, জেহাদিদের পথ দেখিয়েছিল এই অ্যাপ। গোয়েন্দা সূত্রের নতুন খবর, নিজেদের মধ্যে কথা বলার জন্য কয়েকটি চিনা অ্যাপ ব্যবহার করে জঙ্গিরা। পহেলগাঁও হামলার পরিকল্পনাও হয়েছিল ওই অ্যাপের মাধ্যমে। সম্ভবত এই কারণেই আজ অবধি হামলাকারীদের কাউকে ধরা যায়নি।
সংবাদ সংস্থা সিএনন-নিউজ জানাচ্ছে, ভারতীয় সেনাকে ফাঁকি দিতে চিনা স্যাটেলাইট ফোন এবং ভারতে নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপ ব্যবহার করে হামলার পরিকল্পন করে জঙ্গিরা। হামলার দিন পহেলগাঁওয়ে চিনা স্যাটেলাইট ফোনের অস্তিত্ব টের পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তা ধরা পড়েছে গোয়েন্দাদের ব়্যাডারে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে গালওয়ানে চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর বেশ কিছু চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। এই অ্যাপগুলিতে তথ্য গোপন করার পদ্ধতি (এনক্রিপশন) অনেক শক্তিশালী। সহজে হ্যাক করা যায় না। মনে করা হচ্ছে, তেমনই কোনও চিনা অ্যাপ ব্যবহার করেছিল জেহাদিরা। ওই অ্যাপেই নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চালাত। এই কারণেই জঙ্গিদের খুঁজে বের করা কঠিন হচ্ছে। যদিও গোটা উপত্যকা জুড়ে অভিযান চালাচ্ছে কাশ্মীর পুলিশ ও ভারতীয় সেনা। সন্দেহভাজনদের তালিকা তৈরি করে বাড়ি বাড়ি খোঁজ চালানো হচ্ছে।
পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বিকেলে পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টের কাছে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রাণ যায় ২৬ জনের। অপারেশন চলাকালীন নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখার জন্য তাদের কাছে ছিল এনক্রিপ্টেড রেডিও ডিভাইস। যার মাধ্যমে অফলাইনে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছিল হত্যালালী চলাকালীনও। মনে করা হচ্ছে, কখন ভারতীয় সেনা কোথায় থাকছে, কোথায় তাদের ঘাঁটি আছে, কখন সেখানে পাহারা বদল হয়, সব খুঁটিনাটি তথ্য ওই ছ’জনকে দিয়েছিল আইএসআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.