সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক-সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল এই ঘটনার নৃশংসতা নাড়িয়ে দিয়েছে ভারত-সহ গোটা বিশ্বকে। এই জঙ্গি হামলার তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ। আর এবার তদন্তে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বৈসারন উপত্যকায় পৌঁছনোর জন্য প্রায় ২০-২২ ঘণ্টা পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেক করতে হয়েছিল জঙ্গিদের।
পাশাপাশি এই তথ্যও উঠে এসেছে যে, হামলা চালানোর সময় একজন স্থানীয় বাসিন্দা এবং একজন পর্যটকের মোবাইল ছিনতাই করে সন্ত্রাসবাদীরা। সূত্রের খবর, মোট চারজন জঙ্গি এই নারকীয় হত্যালীলা চালায়। যাদের মধ্যে স্থানীয় জঙ্গি আদিল ঠোকর এখনও পলাতক। এদিকে সন্ত্রাসদমনে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ মোদি সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। এরপরই পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর উপত্যকাজুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে সেনা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, জঙ্গিরা ২২ ঘণ্টা পথ পাড়ি দিলেও, নিরাপত্তাবাহিনীর নজরে পড়ল না কেন?
আদিল ২০১৮ সালে হিজবুল মুজাহিদীন জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগদান করে। পরে পরিচয়পত্র নিয়ে পাকিস্তানে পাড়ি দেয়। সেখান থেকে ২০২৪ সালে কাশ্মীরে ফিরে আসার আগে লস্কর-ই-তইবার কাছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়। এরপর ভারতে ফিরে এসে ভূখন্ডে পার্বত্য অঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে রসদ জোগান দেওয়ার পাশাপাশি তাদের পথ প্রদর্শক হিসাবে কাজ করত।
এদিকে পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর সেখানে পৌঁছে সেখান থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক দল। যার মধ্যে ছিল বেশ কিছু কার্তুজের খোল। সেগুলি পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদীরা একে-৪৭ এবং এম-ফোর আসল্ট রাইফেল নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। তবে এখন তদন্তকারীদের অন্যতম সূত্র স্থানীয় এক ফোটোগ্রাফার। যিনি এই হামলা চলার সময় একটি গাছের উপর বসে পুরো ঘটনা লেন্সবন্দি করেন। সেই ফুটেজগুলি ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ঘটনার সময় দু’জন জঙ্গি একটি দেকানের পিছন থেকে বেরিয়ে এসে পর্যটকদের কলমা পড়তে বলে। এরপরই তারা খুব কাছ থেকে চারজনকে গুলি করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তেই বাকি পর্যটকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। তখনই অন্যদিক থেকে বাকি দু’জন জঙ্গি পর্যটকদের উপর বেপরোয়া গুলি চালাতে শুরু করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.