ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সবচেয়ে নিচু স্তরের কর্মী ছিল আদিল আহমেদ দার। তাই তাকে নিয়ে বেশি চিন্তার কিছু নেই বলেই মনে করেছিলেন গোয়েন্দারা। কারণ, দীর্ঘ প্রশিক্ষণ ও মগজধোলাই ছাড়া এই স্তরের জঙ্গিদের অপারেশনে নামানো হয় না। কিন্তু তাঁদের অভিজ্ঞতা বৃহস্পতিবার পুরো পালটে দিয়ে এই আদিলকেই আত্মঘাতী আক্রমণের দায়িত্ব দিয়ে পাঠায় জইশ। তাদের এই পালটে ফেলা কৌশলই গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে চলেছে।
[কলকাতায় ছড়িয়ে জইশের জাল! কোথায় গেল শিয়ালদহের ‘চাচা’?]
জঙ্গি সংগঠনগুলির নেতৃত্ব ও কর্মীদের নানা স্তর থাকে। নিরাপত্তাবাহিনীর মতোই। গোয়েন্দা কর্তাদের কাছে খবর ছিল, আদিল গ্রেড ‘সি’ ক্যাটাগরির জঙ্গি। তাই তাকে বিশদ নজরে রাখা বা তার বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেনি নিরাপত্তাবাহিনী। কিন্তু পুলওয়ামা কাণ্ডের পর বাহিনীর কর্তারা অশনি সংকেত পেয়েছেন। তাঁদের ধারণা, কৌশল পালটে জইশ এবার আরও বেশি করে তরুণ কাশ্মীরিদের নিয়োগ করবে। যাদের মুখ হবে নিষ্পাপ, চেহারা হবে অতি সাধারণ। যাতে সেনা-পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ছাঁকনি গলে তারা বেরিয়ে যেতে পারে।
সাম্প্রতিক অতীতে জইশের কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গিদের মধ্যে শীর্ষে থাকা অনেককেই প্রাণ হারাতে হয়েছে। অথবা কাজ বন্ধ করে চুপচাপ গা ঢাকা দিতে হয়েছে। কারণ, সন্ত্রাসদমন অভিযান ছিল অত্যন্ত তীব্র। কিন্তু বাহিনীর কাছে কম বিপজ্জনক বলে খবর থাকা ‘লো প্রোফাইল’ জঙ্গিদের দিয়ে মারাত্মক অভিযানের কৌশল সম্পূর্ণ নতুন। পুলওয়ামার ঘটনার অব্যবহিত পরেই আদিল দারের ভিডিও প্রকাশ করে হামলার দায় স্বীকার করে জইশ। সেখানে আদিল জানিয়েছিল, ২০১৮-য় সে জইশে যোগ দিয়েছিল। মাত্র এক বছরের মধ্যেই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হামলার এমন গুরুদায়িত্ব সাধারণত কাউকে দেওয়া হয় না। এই ঘটনা কি ব্যতিক্রম? নাকি এটাই রুটিনে পরিণত করবে জইশ? তা নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় গোয়েন্দারা।
[জইশ জঙ্গিদের সমর্থনে ভারত-বিরোধী পোস্ট, অভিযোগ দায়ের লালবাজারে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.