সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর উপত্যকার নিরাপত্তা নিয়ে এখন বেশ চিন্তাতেই রয়েছে ভারতীয় সেনা। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে চারজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নাইপার। এই চার স্নাইপারকে নিয়েই এখন চিন্তিত সেনা আধিকারিকরা।
এই সপ্তাহেই কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হন দুই জওয়ান। বহু দূর থেকে গুলি করা হয়েছিল তাঁদের। এই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই খবর এসে গিয়েছে জঙ্গিগো্ষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদে যোগ দিয়েছেন চার জন স্নাইপার। সিআইএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর জানিয়েছেন, ২২ অক্টোবর একজন জওয়ান শহিদ হন। এরপর তিন দিন আগে আরও একটি জওয়ান শহিদ হন। এই দু’টি ঘটনাই কোনও এক স্নাইপার করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ, দুই ক্ষেত্রেই অনেক দূর থেকে গুলি করা হয়েছিল।
[ অর্থের অভাব, অথৈ জলে মোদির স্বপ্নের বুলেট ট্রেন প্রকল্প ]
এমনকী জঙ্গিদের হাতে নাইট ভিশন গ্লাস রয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের অস্ত্রও অত্যাধুনিক। সেনাকর্তাদের অনুমান, আফগানিস্তান থেকে তাদের এই অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর উদ্দেশেই এই অস্ত্রগুলি আফগানিস্তান থেকে আনা হয়েছে বলে মনে করছেন সেনা আধিকারিকরা। এও জানা গিয়েছে, এই চার স্নাইপার ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার দূর থেকেও অব্যর্থ নিশানা লাগাতে পারে। এভাবেই প্রশিক্ষণ পেয়েছে তারা। এত কিছুর উপর আবার অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে থাকায়, তাদের কাজ আরও সহজ হয়ে গিয়েছে।
এই স্নাইপারদের থেকে নিজেদের রক্ষা করতে জওয়ানদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আনা হয়েছে। তাদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট। জারি হয়েছে বিশেষ গাইডলাইনও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্নাইপাররদের কারণেই রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংকটে। রাজ্য ও দেশের ভিআইপিদের নিয়ে বেশ চাপেই রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। তবে পুলিশ বা গোয়েন্দাদের তরফে এখনও তাদের কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি।
[ ক্ষোভে ফুঁসছে আদিবাসীরা, নিজের রাজ্যেই নজিরবিহীন বিরোধিতার মুখে মোদি ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.