সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের খবরে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘মেন্টর’ তথা ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসে’র সভাপতি শ্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda)। সম্প্রতি আমেরিকায় একটি অনুষ্ঠানে রাম, হনুমান এবং মন্দির নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেন তিনি। পিত্রোদার কথায়, বর্তমান ভারতে “বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক বিষয়গুলি পেছনে চলে গিয়েছে।” কংগ্রেস নেতার সাফ কথা, “রাম, হনুমান, মন্দির বেকারত্ব ঘোচাতে পারবে না।” পিত্রোদার এই বক্তব্যই পছন্দ হয়নি গেরুয়া শিবিরের। পালটা টুইটে রাহুল ঘনিষ্ট কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)।
গত ২ জুন থেকে দিন দশকের আমেরিকা সফরে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতার সঙ্গী হয়েছেন ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসে’র সভাপতি পিত্রোদা। সেখানেই একটি অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, মোদি সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বেকারত্বের মতো মৌলিক বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, বরং ধর্মীয় বিষয়ে অনেক বেশি নজর তাদের। পিত্রোদা মন্তব্য করেন, “বেকারত্ব, মূদ্রাস্ফীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের সমস্যা রয়েছে। অথচ এই বিষয়গুলি নিয়ে কেউ কথা বলেন না। সবাই রাম, হনুমান, মন্দিরের কথা বলে। আমি বলেছি, মন্দির বেকারত্ব ঘোচাতে পারবে না।”
টুইটারে পিত্রোদার এই বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করে অমিত মালব্য কটাক্ষ করেছেন, “হিন্দুদের উপর বিষ ডালা হচ্ছে এবং মন্দিরের অবমাননা করা হচ্ছে।” পিত্রোদার এমন মন্তব্যের পরে রাহুল গান্ধী নীরবতা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান। মালব্যর দাবি, ২০২৩-এর এপ্রিলে ভারতে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৭ শতাংশে নেমেছে। যা গত ১৮ মাসে সবথেকে কম। পাইকারি মুদ্রাস্ফীতিও ভাল অবস্থায় রয়েছে। বিজেপি নেতার আরও দাবি, ভারতের মুদ্রাস্ফীতি পিত্রোদা যে দেশে বাস করেন অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম।
প্রসঙ্গত, পিত্রোদাই ক’দিন আগে মোদির নেতৃত্ব ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসা করেছিলেন। জানিয়ে ছিলেন, তিনি এই বিষয়ে গর্বিত! ইউক্রেন ও চিন ইস্যুতে বিদেশ মন্ত্রকের পাশে রয়েছেন। বলেন, “আমাকে কেউ জানালেন মোদি এই সম্মান পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বলতেই পারি আমি সুখী। কেননা দিনের শেষে তিনি আমার প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখানে একটা ভুল করা ঠিক হবে না। উনি কিন্তু এই সম্মান পাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। বিজেপির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়। এই দুই বিষয়কে আলাদা করে দেখা দরকার। দেড়শো কোটির একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সর্বত্র সম্মান পাওয়া উচিত। এই নিয়ে আমি গর্বিত। আমি এই বিষয়ে নেগেটিভ নই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.