ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরিয়ানি৷ নামটা শুনলেই জিভে জল চলে আসে অনেকের৷ হায়দরাবাদি, কাশ্মীরি, মুর্গ, ইরাকি ইত্যাদি ভিন্ন স্বাদের বিরিয়ানি আশাপাশের রেস্তোরাঁগুলিতে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়৷ কিন্তু, যদি কোনও মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে প্রসাদে চিকেন ও মটন বিরিয়ানি পান? ব্যাপারটা কেমন হবে ভাবতে পারছেন? বিষয়টা কিন্তু নিছক মশকরা নয়৷ সত্যিই এ দেশে এমন মন্দিরও রয়েছে, যেখানে প্রসাদে বিতরণ করা হয় বিরিয়ানি৷
[বিমানে চড়ার শখ মেটাতে সাংসদ হতে চান ‘বাহুবলী’ বিধায়ক ]
তামিলনাড়ুর মাদুরাই থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ভাডাক্কামপাট্টির ছোট একটি গ্রামের নাম থিরুমঙ্গলম৷ সেখানে রয়েছে মুনিয়ান্দি স্বামীর মন্দির৷ প্রত্যেক বছর জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার ওই মন্দিরে পালিত হয় মুনিয়ান্দি উৎসব৷ সেই উৎসবের পর প্রসাদ বিতরণ পর্বে অপেক্ষা করে বিরল এই চমক। ভোর চারটের সময় পুজো শেষ করে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয় বিরিয়ানি প্রসাদ। ওই সময় মন্দিরে ঢল নামে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর৷ প্রত্যেকের প্লেট ভরিয়ে দেওয়া হয় গরম গরম মাটন বা চিকেন বিরিয়ানিতে। মুনিয়ান্দি স্বামীর প্রসাদী হিসাবে বিরিয়ানির সঙ্গে এক টুকরো মটন বা চিকেন ও আলু পেয়েই খুশিতে মেতে ওঠেন ভক্তগণ৷ বিরিয়ানির আতরের গন্ধে ম ম করে মন্দির চত্বর।
[নাসিরউদ্দিন ‘বিশ্বাসঘাতক’, তোপ আরএসএস নেতার]
জানা গিয়েছে, গত ৮৩ বছর ধরে এই প্রসাদের প্রথাই চলে আসছে ওই মন্দিরে। স্বামী মুনিয়ান্দির এই প্রসাদ খেতে সেখানে ভিড় জমান দেশ-বিদেশের ভক্তরা। রান্না হয় প্রায় ২ হাজার কেজি বিরিয়ানি। সারা রাত ধরে চলে পূজার্চনা৷ ভোরবেলা পুজোর শেষে বিতরণ করা হয় প্রসাদ। ভোগ রান্নার কাজে নিযুক্ত থাকেন শ’খনেক রাঁধুনি। দূরদূরান্ত থেকে জ্বালানির কাঠ আসে পঞ্চাশটি নৌকা বোঝাই করে। মাংসের যোগান দিতে বলি দেওয়া হয় প্রায় ৫০০ টি পাঁঠা৷ মন্দিরের পাশে বসে মেলা। মাদুরাই পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণও নাকি এই মন্দির এবং এর প্রসাদী বিরিয়ানি৷ তামিলনাডু ভ্রমণে যাওয়া মানুষজনেরও তাই টার্গেট থাকে, এই সময়ে যদি একবার থিরুমঙ্গলমের স্বামী মুনিয়ান্দির মন্দিরটা ঘুরে আসা যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.